১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

অপারেশন অর্ধেক করে প্রসূতিতে ফেলে চলে গেল চিকিৎসক!!

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ , ২৪ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

মোঃনিয়ামুল আকন্ঞ্জি,স্টাফ রিপোর্টার: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক অন্তসত্ত্বা নারীকে অর্ধেক অস্ত্রোপচার করে ফেলে চলে গেলেন এক চিকিৎসক। বুধবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় ওই প্রসূতিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে ঢাকায় পাঠানো হয়। এর আগে দুপুরে পৌর এলাকার জেলরোডে আল খলিল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। অন্তসত্ত্বা রিক্তা আক্তার জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের শাকিল মিয়ার স্ত্রী।

স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, অন্তসত্ত্বা রিক্তাকে বুধবার অস্ত্রোপচারের জন্য জেলা শহরের জেলরোডের আল খলিল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আনা হয়। এসময় গাইনী চিকিৎসক সায়মা রহমান ইমার ওই প্রসূতিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নিতে বলেন। পরে তাকে দুপুরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পর অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসক। এসময় চিকিৎসক দেখেন আল্ট্রাসনোগ্রাফির সাথে রোগীর গর্ভের অবস্থার কোন মিল নেই। তাই রোগীকে অর্ধেক অপারেশন করে থিয়েটারে ফেলে চিকিৎসক চলে যান। অর্ধেক অস্ত্রোপচার করার কারণে রক্তক্ষরণের ফলে প্রসূতি রিক্তার অবস্থা খারাপের দিকে যায়। এই অবস্থায় প্রসূতির স্বজনরা জানতে পেরে হাসপাতালে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালে চলে হুলুস্থুল। এরই মাঝে ঘটনাটি জেলা শহরে ছড়িয়ে পড়লে সদর মডেল থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অর্ধেক অপারেশন করা প্রসূতিকে ব্যান্ডেজ করে এম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খলিল বশির মানিক জানান, অন্তসত্ত্বা রিক্তাকে সকালে শহরের অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফী করলে রিপোর্ট ভালো আসে এবং সেই রিপোর্ট নিয়ে আল খলিল হাসপাতালে চলে আসে অস্ত্রোপচারের জন্য। কিন্তু যখন চিকিৎসক সায়মা রাহমান ইমা অস্ত্রোপচার করা শুরু করে তখন দেখেন যে রিপোর্টের সাথে বাচ্চার অবস্থান ঠিক নেই। রোগীর পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারা হাসপাতালে ঝামেলা করে। পরে আমরা নিজ দায়িত্বে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

এ ব্যাপারে চিকিৎসক সায়মা রহমান ইমা’র কাছে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি ।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে গর্ভবতী নারীকে ঢাকায় এম্বুলেন্সে পাঠানো হয়। তবে ভুল চিকিৎসার বিষয়ে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন