মেহজাবিন অন্নদার মোড়ে পানি দেখে বলে বাবা’আবার কি??
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ , ১১ জুন ২০২১, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) আগামীকাল শনিবার মেহজাবিনের জন্মদিন তাই( ১১ জুন) শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাচঁটার দিকে সরাইল বাজার যাবে নিজের পছন্দের মতে জন্মদিনের কেক দিতে বেকারীতে। অন্নদার মোড়ে নতুন সড়ক পার হতে, পানিতে পা আটকে মেহজাবিন বলে,বাবা এতো সুন্দর সড়কে পর পানি আবার কি আগের মতোই? মা’রে সড়কে কাজ করেছে পিছনে উচুমানের কারণে এখানে পানি জমেছে। ড্রেইনে পানিতে যেতে কোন সমস্যা আছে কি না? পানিতে আটকে মেহজাবিন বলে,বাবা আপনি যাই বলেন,সঠিক পরিকল্পনা করে কাজ করা দরকার,এ কথা বলতেই পাশের চা-দোকান থেকে এক ব্যক্তি বলেন, এখনতো পানি একটু কমছে একটু আগে হাঁটু পানি ছিল, সে বলে,মেহজাবিন সরাইলে’র মানুষের দুঃখ গেলেও “দুর্দশা গেছে না” !!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার প্রধান প্রবেশদ্বার উপজেলার অন্নদার মোড়। এ মোড়ে একটু বৃষ্টির পানিতে
জলাবদ্ধতা হলে পথচারীদের চলাফেরার দুর্ভোগ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল -অরুয়াই সড়কের অন্নদা মোড়ের উন্নীতকরণে কাজ শুরু করে।সরাইল উপজেলার দীর্ঘদিনের সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থাকাই ও যানজটে মানুষের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। এখন অন্নদা মোড়ের উন্নয়নে পাল্টে যাবে যোগাযোগের চিত্র। সড়কের ও ড্রেনের উন্নীতকরণে কাজ করছে সরাইল উপজেলা এলজিইডি।এছাড়া সড়কে পানি নিষ্কাশনের জন্য উন্নয়নে আরও কিছু প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে উপজেলার প্রবেশ সড়কের যোগাযোগের চিত্রই। এমন আশা করে ছিল সরাইল উপজেলাবাসী। কিন্ত সরেজমিনে আজ তার চিত্র ছবিতে আছে। সরাইল উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা অন্নদার মোড়- উপজেলা কমপ্লেক্স রোড়-টিঘর- সরাইল প্রাতঃ বাজার ঢালাই রাস্তার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান। ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির আওতায় সরাইল অন্নদার মোড়সহ টিঘর প্রাতঃ বাজার পূর্ব-পশ্চিম অংশ নির্মাণ কাজ চলমান। প্রকল্প (নন – মিউনিসিপাল) ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বতর্মানে প্রকল্পটির আওতায় বিভিন্ন ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মেহজাবিন বলে বাবা, সরকারের এতো টাকার কাজ করছে মানুষের ভালো ভাবে চলাফেরা করতে। কিন্তু বাবা মানুষের আগের মতোই কষ্ট করে, কাপড় ভিজিয়ে যেতে হয়। এটি বাবা অনেক দুঃখজনক?
মা’রে দুঃখ করে আর কি হবে যা আছে কপালে,বৃষ্টির পানি আর ময়লা দিয়ে বাজারে আসা যাওয়া করতে হবে আরকি। মা’রে এটি উপজেলার প্রধান সড়ক তুমি ছাড়াও এ সড়ক দিয়ে, উপজেলার অফিস পাড়া,সরাইল থানা, উপজেলা পরিষদসহ এমপিদের গাড়ি আসে। মেহজাবিন বলে, টিক আছে উনাদের গাড়ি আসে আমাদের মতো পায়ে হেঁটেছেন। এক দিন পানি দিয়ে হাঁটলে মনে থাকবে সড়কে জলাবদ্ধতা কেমন লাগে। এ কথা বলতে বলতে, তৌহিদিয়া লাইব্রেরী সামনে গেলে সরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো.আলম স্যার মেহজাবিনকে বলে,এ সড়কে পানি বড়ই কষ্ট দিতেছে পথচারীদেরকে। মেহজাবিন বলে স্যার এতো টাকা খরচ করে ড্রেইন ঢালাই সড়ক করা হয়েছে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না কেন? মো. আলম স্যার মেহজাবিন’কে বলে, ঝাউ যদি’গুর দিয়া খাওন লাগে” ফিন্নি অইতো ভালা আছেন?? মেহজাবিন বলে, বাবা উনার কথায় আমি অনেক মজা পেয়েছি। তবে বাবা আমার একটি কথা মনে পড়েছে, এক শিক্ষক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করে বলোতো “good” অর্থ কি, ছাত্র বলে,ভাল।শিক্ষক আবার বলে ছাত্রকে বলতো, goods” অর্থ কি? ছাত্র বলে স্যার এর চাইতে বেশী ভালা!!
আপনার মন্তব্য লিখুন