ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে নতুন ওসি যোগদানের পর থেকেই জনমনে কোতুহল।।
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ , ১৪ মে ২০২১, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
মনির হোশেন টিপুঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় নতুন ওসি যোগদানের পর থেকেই জনমনে কোতুহল সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার পল্লবী থানার ভেতরে আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনার পর বদলি হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
ঢাকার পল্লবী থানায় ২০২০ সালে ২৯ জুলাই ভোরে আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন। এই ঘটনায় বদলি হওয়া এমরানুল ইসলামকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ের আদেশে বুধবার দুপুরে তিনি সদর মডেল থানায় যোগ দেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের পর বদলি হওয়া সদর মডেল থানার ওসি আব্দুর রহিমের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
রাজধানীর পল্লবী থানায় ২০২০ সালে ২৯ জুলাই ভোরে আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন। এ ঘটনায় রহস্য সৃষ্টি হলে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে বিভিন্ন কর্মকর্তা ভিন্ন বক্তব্য দেন। তবে পুলিশের একটি পক্ষ এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সম্পৃক্ত রয়েছে বলে দাবি করা হয়।
এই ঘটনাটি বর্তমানে পুলিশের জঙ্গি প্রতিরোধে গঠিত বিশেষ ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।
ডিএমপির কমিশনার ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই মিরপুর ও পল্লবীর ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। এদের একজন এমরানুল ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) রইছ উদ্দিন বলেন, ‘এমরানুল ইসলাম দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। তবে আগে কোথা থেকে কোনো ঘটনায় বদলি হয়েছেন সেটি আমার জানা নেই। আমি শুধু জানি তিনি ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) ওয়ারি জোনে পরিদর্শক (অপারেশন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।’ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার আলাউদ্দিন চৌধুরী, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম, সরাইল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএমএম নাজমুল আহমেদ ও খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী শাখাওয়াত হোসেনকে বদলি করা হয়।
উল্লেখ্য গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাণ্ডব চালায় হেফাজতের কর্মীরা। সে সময় পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। বিশেষ করে ২৮ মার্চ তাণ্ডবের দিন কোনো বাধা না নিয়ে সদর থানা থেকে মাইকিং করে হেফাজত কর্মীদেরকে মিছিল করতে বলা হয়।
আপনার মন্তব্য লিখুন