মনির আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে সম্ভ্রম হরণ ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।।
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:৪০ অপরাহ্ণ , ২৪ এপ্রিল ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
মোঃনিয়ামুল আকন্ঞ্জি,স্টাফ রিপোর্টার:প্রবাসে উপার্জিত টাকা ও মান-সম্ভ্রম হরণ করে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ের কাবিননামা রেজিষ্ট্রি না করার অভিযোগে কসবা পৌরসভার জনৈক মনির আলীর বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেসমিন আক্তার নামে এক নারী। মনির আলী কসবা পৌরসভার মরাপুকুর পাড় এলাকার মৃত হাদেম আলীর ছেলে। অভিযোগকারী জেসমিন একই উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার কন্যা।
অভিযোগে প্রকাশ, বিবাদী মনির আলীর সাথে বাদীনি জেসমিন আক্তারের পরিচয় হওয়ার পর মোবাইল ফোনে আলাপচারিতার মাধ্যমে তারা আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল গ্রামের অভিযোগের ০১নং সাক্ষী আনোয়ারা বেগমের বাড়িতে ০২-০৩নং সাক্ষী নাছির উদ্দিন ও রেহানার সহযোগিতায় জনৈক হুজুর ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। পরবর্তীতে জীবন-জীবিকার তাগিদে ২০১৮ সালে বাদীনি জেসমিন আক্তার লেবাননে চলে যান। সেখান থেকে ধাপে ধাপে ৩ লাখ টাকা পাঠান স্বামী মনির আলীর নিকট। এরপর চলতি বছরের ২৮ মার্চ জেসমিন দেশে চলে আসেন। মনির আলী জেসমিনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে তার বাড়িতে আসতে বলে। জেসমিন আক্তার ১২ এপ্রিল, ২০২১ইং তারিখে মনিরের বাড়িতে আসলে সেখানে তারা রাত্রিযাপন করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে এই বাড়িতে উঠিয়ে আনবে মর্মে আশ্বাস দিয়ে রাতে জেসমিন আক্তারকে জোরপূর্বক কয়েকবার মনির আলী ধর্ষণ করেন। পরদিন ১৩ এপ্রিল মনির আলীসহ তাহার চাচা জেসমিন আক্তারকে আশ্বস্ত করে জেসমিনের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে মনির আলী জেসমিনের সাথে আর কোনো যোগাযোগ না রাখায় খোঁজ-খবর নিয়ে বাদীনি জানতে পারেন- মনির আলী প্রতারণামূলকভাবে ইতিমধ্যে আরেকটি বিয়ে করে ফেলেছেন। এ বিষয়ে ন্যায় বিচারের আশায় জেসমিন কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে মনির আলী বলেন- আমি জেসমিন আক্তার নামে কাউকে চিনি না। তিনি আরো বলেন- আমি রাজনীতি করি, হয়তো প্রতিপক্ষ কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন- অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর মূল বিষয়টি বুঝতে পারব। তখন প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন