১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

প্রতারণার মাধ্যমে নগ্ন রেখে টাকা আদায়- তাদের কাজ।।

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ , ২৩ এপ্রিল ২০২১, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে আটকে রেখে টাকা আদায় করাই তার কাজ। আর ভয় দেখাতে সঙ্গে রাখে বিশাল আকৃতির ছুরি, খেলনা পিস্তল। কিন্তু পরিচয় তার কখনো গোয়েন্দা পুলিশ, আবার কখনো সাংবাদিক। দুই নারী সহযোগীসহ গ্রেফতার হওয়ার পর বের হয়ে আসছে প্রতারক মাসুদ রানার এমন কর্মকাণ্ডের নানা কাহিনী।

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানা পুলিশের মুখোমুখি কথিত সাংবাদিক এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাসুদ রানা। সঙ্গে রয়েছে দুই নারী সহযোগী। যাদের কাজ মূলত টেলিফোনে সম্পর্ক তৈরি করে শিকারকে বাসায় নিয়ে আসা। এরপরের কাজ করেন মাসুদ রানা নিজেই।

গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে শিকারকে আটকের পর দাবি করা হয় লাখ টাকা। আবার কখনো শিকারের সামনে সাংবাদিক পরিচয়ে আসতেন এই মাসুদ রানা। টাকা আদায়ে চলত মারধরও।

ভুক্তভোগীরা জানান, বাসায় গেলে তারা তাদের বন্দি করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে লাখ টাকা দাবি করে। ডিবি পরিচয় দিয়ে মারধর করে লাখ টাকা দাবি করে বলে জানান অপর এক ভুক্তভোগী।

তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নগরীর পাহাড়তলী একতা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মাসুদ রানাকে। উদ্ধার করা হয় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত নানা উপকরণ। এর মধ্যে ক্যামেরা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বিশাল আকৃতির ছুরি, অত্যাধুনিক খেলনা পিস্তল এবং ইয়াবা।

গ্রেফতারকৃত তিনজন হলেন-মাসুদ রানা, লক্ষ্মী রানী দান ও নার্গিস আক্তার।

সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার পলাশ কান্তি নাথ জানান, অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরির পরে দুই যুবককে নিরিবিলি একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কথিত সাংবাদিকের বাসায় নিয়ে গিয়ে অশ্লীল ভিডিও করে তাকে ফাঁসিয়ে দেবে বলে টাকা আদায় করা হয়। মোবাইল থেকে আমরা প্রমাণ পেয়েছি, সে আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, যার তদন্ত চলছে।

গ্রেফতারকৃত মাসুদ রানার বিরুদ্ধে আগেই নগরীর বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা ছিল। এবার গ্রেফতার হওয়ার পর পাহাড়তলী থানায় আরও ৩টি মামলা করেছে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী এবং পুলিশ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন