১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

করোনায় বেঁচে আছি জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি!

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ , ২০ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

মো.তাসলিম উদ্দিন /লকডাউন চলছে, কঠোর লকডাউন। দ্বিতীয় ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে। কোভিড নামধারী এক ভাইরাস মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে হামলে পড়ছে। মানুষ অসহায়, ভীষণ রকমের অসহায়। মেডিকেল সায়েন্স কূল-কিনারা করতে পারছে না। কোভিড ভাইরাস তার ধরন-প্রকৃতি বদলে চলেছে প্রতিনিয়ত। ডাক্তার, নার্সসহ মেডিকেল সেক্টরের সবাই জান বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন। মিছিল চলছে, মৃত্যুর মিছিল। আজ যে শব কাঁধে নিচ্ছে, কাল অন্যের কাঁধে তার নিথর দেহ। অনিশ্চিত জীবন শঙ্কায় মানুষের দিন পেরোয়, রাত ভোর হয়। আগামী দিনের সূর্য, সে যেন জীবনের বিশাল প্রাপ্তি।
করোনাভাইরাস পাল্টে দিয়েছে আমাদের জীবনের বাস্তবতা। চারদিকে কেমন অদ্ভুত নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। যেন অদ্ভুত আঁধার নেমে এসেছে। এবং অস্বীকার করার উপায় নেই যে করোনা একধরনের আঁধার। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয়টি হলো -মানুষের মৃত্যুর কারণ একটি ছোট ভাইরাস। ধারণা করা হয় কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যাবে করোনা–মৃত্যু।
করোনা পৃথিবীর কাছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আমাদের ভাবনায় একসময় করোনার মতো ভাইরাস শুধু স্বাস্থ্যগত বিপর্যয় হিসেবে ছিল, অথচ মহামারি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষের লক্ষণ প্রকাশ্য। বলা হচ্ছে করোনার অর্থনৈতিক প্রভাব আগামী কয়েক প্রজন্মকে ভোগ করতে হবে। বলা হচ্ছে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে হবে। সবচেয়ে আশ্চর্য লাগে পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু সর্বাধিক।হয়তো অনেক রাষ্ট্রে শত শত করোনা রোগীর খবর কেউ জানেই না।
করোনায় বিশ্বের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ক্ষতির সম্মুখীন। বিজনেস ইনসাইডারের তথ্যমতে, বিশ্বের ১৮৮ রাষ্ট্রের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। এর ফলে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী একধরনের বাধার সম্মুখীন। কিন্তু এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই, কারণ এসবের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি।
করোনার ছোবলে শিশু, তরুণ, বৃদ্ধ একে একে সবাই আক্রান্ত হলো। অথচ প্রথমে জানলাম শুধু জটিল রোগী এবং বৃদ্ধরাই বেশি বিপদগ্রস্ত। অথচ প্রকৃত সত্য হলো এমন সংক্রামক ভাইরাসে কেউ নিরাপদ নই। কারও পক্ষে নিশ্চিত নিরাপদ থাকার উপায় নেই। তবুও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারের নির্দেশনা মানা আমাদের একান্ত প্রয়োজন।।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন