১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

স্মৃতি সৌধ ও হাইওয়ে রোডের জায়গা দখল করে চলছে রমরমা কাঠের ব্যাবসা।।

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ , ১৭ এপ্রিল ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

খুলনা জেলা প্রতিনিধি মোঃ শহিদুল ইসলামঃ ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত মঙ্গলকোট বুড়ি ভদ্রা নদীর ব্রীজের মাথায় খানসেনাদের দোসর ও স্হানীয় রাজাকাররা বিভিন্ন এলাকার নিরিহ মানুষ ধরে এনে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করত।

এলাকা বাসি সে সমস্ত শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে সরকারী অর্থে একটি “জয়চত্তর স্মৃতি সৌধ” স্হাপন করেছে।

বর্তমানে ওই স্মৃতি সৌধটি অ-যত্ন অবহেলায় অরক্ষিত অবস্হায় আছে। রাজাকার পুত্র ভুমিদস্যু আবুলের হাতের কপজায় ।কেশবপুর মঙ্গলকোট বাজারে স্বাধীনতা স্মৃতি সৌধ ও হাইওয়ে রোডের জায়গা দখল করে চলছে রমরমা কাঠের ব্যাবসা, অদৃশ্য কারণে প্রশাসন নিরব।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় গত (রবিবার ১১ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট বাজারের ব্রীজের মাথায় স্বাধীনতা স্মৃতি স্তম্ভ, জয় চত্তর ও বাজার স্ট্যান্ড জামে মসজিদের সামনে চিহ্নিত
এক রাজাকার পুত্র ভূমি দস্যুর বিরুদ্ধে সরকারী খাস জমি দখলের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় । ভূমি দস্যু দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে মঙ্গলকোট বাজারের ব্রীজ সংলগ্ন হাইওয়ে রোডের জাগায় ও সরকারী খাস জমি জবর-দখল করে কাঠ ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে।

, এলাকার রাজাকার পুত্র ও ভূমিদস্যু মোঃ আবুল হোসেন (৫৫), পিতা মৃত আহম্মদ আলি গাজী,ওরফে (কদু রাজাকার), গ্রাম-আলতাপোল, কেশবপুর, যশোর, তিনি হাইওয়ে রোডের সামনে সরকারি খাস জমি দখল করে ও শহীদদের স্মৃতি রক্ষা শহীদ মিনারের জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন কাঠের ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকের কাছে জানতে চায়লে তারা আমাদের এ প্রতিবেদককে বলেন, এলাকার কুখ্যাত কদু রাজাকারের ছেলে আবুল হোসেন( নব‍্যরাজাকার) হাইওয়ে রোডের সামনে স্মৃতি সৌধ ও বাসাষ্ট্যান্ড মসজিদের সামনের সরকারী জমি দখল করে তিনি ভূমি দস্যুর পরিচয় দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আবুল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার এই জমি ক্রয় করা জমি , কবে কিভাবে রাস্তার মধ্যে ও খাস হয়ে গেছে আমি জানি না। তিনি বলেন খাস জমি হলে আমি এখানে কাঠের ব্যাবসা করব না। তবে আমার কাগজ আছে। সেটা আমি যাচায় করে দেখব।
মঙ্গলকোট বাসষট্যান্ড মসজিদের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান আমাদের বলেন, আবুল হোসেন মসজিদের সামনে পিছনে কাঠ রাখার কারণে বৃষ্টির সময় কাঠের পচা পানি মসজিদে প্রবেশ করে। এবং মুসল্লিদের নামাজ পড়তে সমস্যা হয়। এমনকি আমি নিজে বর্ষার সময় কাঠের পচা পানি পানি সেচে নামাজ পড়ার পরিবেশ করেছি। আমরা মসজিদ কমিটি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করছি যাতে দ্রুত সময়ে সামনের খাস জায়গা থেকে সমস্ত কাঠ, আর্বজনার স্তুপ অপসারণ করেদেন।

স্হানীয় বাজার কমিটির লোক ও মঙ্গলকোট বাজার ষ্ট্যান্ড মসজিদের কমিটির লোকেরা মসজিদের সামনে থেকে কাঠ অপসারণ করার কথা বলা হলেও তাতে সে কোন কর্ণপাত না করে বহল তবিয়তে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান ।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন আমি মসজিদ মির্মাণ কাজ করার জন্য সামনে বালু নানাতে চায়লে সে নিজের জমি দাবি করেন। এবং বালি নামাতে বাঁধা প্রয়োগ করেন ।

জয় চত্বর স্মৃতিসৌধ সংরক্ষন ও মঙ্গলকোট বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ সামনের পরিবেশ রক্ষার অভিযোগ এনে এলাকার সুশীলসমাজ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কেশিবপুর যশোর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি ।

অদৃশ্য অপশক্তির কারণে উপজেলা প্রশাসন বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বহাল তবিয়তে ব্যাবসা করছেন। এলাকাবাসি প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন