১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন দিনের তাণ্ডবের মধ্যে প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি।।

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:২৩ অপরাহ্ণ , ২৯ মার্চ ২০২১, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তিন দিনের তাণ্ডবের মধ্যে প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি গ্রহন করেছে সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার সাংবাদিকরা শহরে বিক্ষোভ করবেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বড় মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম থেকে কয়েক হাজার হেফাজত কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে থানা ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালায়। এই সময় আইনশৃঙ্খালা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।

এরপর ওইদিন বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাণ্ডব শুরু করে একদল মাদ্রাসাছাত্র। তারা রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে, ভাংচুর চালায়।

শনিবারও তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাণ্ডব চালায়, যেখানে অন্তত পাঁচ জনের প্রাণহানি হয়।

পরদিন রোববারও তারা বিভিন্ন সরকারিসহ নানা স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা করে। এদিন আরও দুজন নিহত হন।

এই তাণ্ডবের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিকদের উপরও হামলা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন বলেন, হেফাজতের সহিংসতার তৃতীয় দিন রোববার ভিডিও এবং ছবি ধারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।

এদিন হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙ্গচুর করা হয় এবং এর আগে হামলাকারীরা প্রেসক্লাবের সিসি ক্যামেরা খুলে নেয় বলে অভিযোগ করেন বিজন।

“ঘটনার খবর পেয়ে প্রেস ক্লাবে ছুটে আসার পথে প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির ওপর হামলা চালানো হয়।”

রিয়াজ উদ্দিন জামির বরাত দিয়ে বিজন বলেন, জামিকে দেখার পর ‘তুই প্রেসক্লাব সভাপতি, তুই আওয়ামী লীগ’ বলে তাকে প্রথমে রাম দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। সেটি লক্ষ্যচ্যুত হলে আরেকজন লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
জামিকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান বিজন।

হরতালের দিন প্রেসক্লাবে কয়েক দফা হামলা হয়। এই সময় ক্লাবে জেলার অর্ধশত সাংবাদিক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

সরেজমিনে জানা যায়, রোববার সকালে শহরের পৈরতলায় সাংবাদিক আবুল হাসনাত রাফি হরতালের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে গেলে হামলার শিকার হন। তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং মারধর করে হরতাল সমর্থকরা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন