১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

সরাইলে সুবর্ণজয়ন্তীর শ্রদ্ধা নিবেদনে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশসহ ১৫ আহত

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ , ২৬ মার্চ ২০২১, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

মোঃ তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দিবসে সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ সহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবসে শুক্রবার সকালে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু গ্রুপ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের গ্রুপের লোকদের মাঝে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
সকালে শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও সদস্য সচিব নুরুজ্জামান লস্কর তপু’র নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা কোনো প্রকার শ্লোগান ছাড়া ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করবেন; এমন সময় বিপরীত দিক থেকে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মাস্টারের গ্রুপের সাবেক যুবদল নেতা মুন্না ও ছাত্রদল নেতা জামালের নেতৃত্বে বেশকিছু লোক দেশীয় অস্ত্র বল্লম-টেটা নিয়ে শহীদ মিনারের পেছনে রাস্তায় এসে অবস্থান নেন এবং তারা উত্তেজনা ভাব দেখান। এরমধ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আহবায়ক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও সদস্য সচিব নুরুজ্জামান লস্কর তপু।
এসময় ঘটনাস্থলের পাশেই পুলিশ অবস্থান করছিল। হঠাৎ আনোয়ার হোসেন মাস্টার গ্রুপের লোকজন এলোপাতাড়ি ঢিল ছুঁড়তে থাকে; এতে উত্তেজিত হয়ে নুরুজ্জামান লস্কর তপু গ্রুপের লোকেরা এগিয়ে গেলে দু’গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে সংঘর্ষে লিপ্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ সহ দু’গ্রুপের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু বলেন, আমরা পুলিশের সাথে কথা বলে তাদের দেওয়া সময়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করবো, এমন সময় আনোয়ার হোসেন মাস্টারের লেলিয়ে দেয়া কিছু সন্ত্রাসী যুবদল নেতা মুন্না, ছাত্রদল নেতা জব্বার ও জামালের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এসময় আমাদের লোকজন তাদের প্রতিহত করতে গেলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুরো ঘটনা শহীদ মিনারে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা এবং সাংবাদিকগণরা দেখেছেন।
বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মাস্টার সাংবাদিকদের বলেন, আমি শহীদ মিনারে যাইনি। আগেই আমি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি; শহীদ মিনারে আমার না যাওয়ার বিষয়টি। মুন্নার বাড়ির কাছে শহীদ মিনার। মনে হয় তপুকে দেখে মুন্না উত্তেজিত হয়ে এমনটি করতে পারে। মুন্না আমার কথা শুনে না। আমি এই ঘটনার সাথে কোনো ভাবেই জড়িত নই।
সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন খন্দকার ও এএসআই দিলীপ কুমার নাথ সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন