কসবায় হত্যা মামলায় ২ কাউন্টার মামলায় ৩ জনকে আটক!
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ , ২৪ মার্চ ২০২১, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
মোঃনিয়ামুল আকন্ঞ্জি,স্টাফ রিপোর্টার :ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় একটি হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুই মামলার জেরে কসবার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে এখন থমথমে পরিস্থিতি। গ্রামবাসীর আশঙ্কা, যেকোনো সময় আবারও সংঘর্ষ হতে পারে বিবদমান দুই পক্ষে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিমবাড়ি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পান্ডু গোষ্ঠীর সঙ্গে কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজনের বিরোধ অনেক দিনের। বেশ কয়েকবার এদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে।
এমন এক সংঘর্ষে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল পান্ডুর গোষ্ঠীর রহিজ মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় রহিজের স্ত্রী বাদী হয়ে ২০ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা গ্রেপ্তারও হন।
মাস দুয়েক আগে আসামিরা জামিনে বের হয়ে গ্রামে ফেরেন। পান্ডু গোষ্ঠীর অভিযোগ, ফিরেই মামলা তুলে নিতে আসামিরা হুমকি দিচ্ছিলেন। এর জেরে ১৩ মার্চ কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজন পান্ডু গোষ্ঠীর বাড়িঘরে হামলা চালায়। এতে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রহিজের বড় ভাই ফয়েজ মিয়া। তিনি রহিজ হত্যা মামলার ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন।
এর পরপরই কাবিলা গোষ্ঠীর বাড়িতে হামলা চালায় পান্ডু গোষ্ঠীর লোকজন।
পরদিন ফয়েজ হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী রেখা বেগম ৩০ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা করেন। আর আসামিদের পক্ষ থেকে বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় ৩৮ জনের নামে পাল্টা মামলা করেন জুমেলা খাতুন নামে এক নারী।
মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম বলেন, এই গোষ্ঠীগত সংঘর্ষের কারণে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতিও থমথমে। লোকজন ভয়ে আছে, যেকোনো সময় আবার সংঘর্ষ-হামলা হতে পারে।
মইনুল জানান, হামলা-মামলার জেরে অনেকেই এখন গ্রামছাড়া। সেই সুযোগে খালি পড়ে থাকা ঘরে প্রায়ই হচ্ছে লুটপাট। কিছুদিন আগেই ছয়টি বাড়িতে লুটপাট হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঞা বলেন, ফয়েজ মিয়া হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর আসামিদের বাড়িতে হামলার মামলায় ৩ জনকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রামের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
আপনার মন্তব্য লিখুন