বি.আর.টি.সি বাস সার্ভিস নিয়ে ভুক্তভোগী এক যাত্রীর ফেইসবুক স্ট্যাটাস
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১:০৮ অপরাহ্ণ , ১৪ মার্চ ২০২১, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
স্টাফ রিপোর্টারঃ সম্প্রতি সময়ে বি.আর.টি.সি বাস সার্ভিস নিয়ে ভুক্তভোগী এক যাত্রীর ফেইসবুক স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো——
লক্কর-ঝক্কর বি.আর.টি.সি—-
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন হচ্ছে বি.আর.টি.সি বাস সার্ভিস। যার প্রতি এক সময় মানুষের ছিলো অগাধ বিশ্বাস। কিন্তু বর্তমানে এই সার্ভিস গুলো নিয়ে কিছু না বললেই নয়!
দিনটি ছিলো ১৩ মার্চ। আমি কখনো বি.আর.টি.সি বাসে উঠিনি। এই বার অনেকটা বাধ্য হয়েই উঠতে হয়েছে। রাত ৯ টায় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ব্রান্মনবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে টিকেট কাটলাম। টিকেট ৩ শত টাকা। যেখানে টিকেট ফি হওয়ার কথা ছিলো ১০০ টাকা। দূরত্ব ৬০ কিলোর বেশি হবেনা। ৯ টায় বাসে উঠলাম। সিটটা সবার পিছনেই। কিছুই করার নেই। বললামনা বাধ্য। উঠে বসলাম। গাড়ি কানায় কানায় ভর্তি। তিল ধারনের ঠাঁই নেই। চোখের পলকেই মুরগির খাচার ন্যায় পরিপূর্ণ হয়ে গেলো ভিতরটা। দুই সারির সিটের মাঝখানে সাঁড়ি সাঁড়ি করে বিছানো মুড়া। প্রত্যেকটা মুড়ার মাঝেই যাত্রি।
মনে মনে জিদ চেপে বসলো। সুপার ভাইজারকে কিছু বকাঝকাও করলাম। আমার সাথে যাত্রীগণও সুর মিলালো। কি বিশ্রি অবস্থা! একদিকে টাকা বেশি, অন্যদিকে ম্যানেজমেন্ট বিশৃঙ্খলা! সিস্টেমের কোনো বালাই নেই! যাত্রী হয়রানি আর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। বলা যায় একরকম ডাকাতি। প্রতিবাদের ভাষা নেই। ইচ্ছে ছিলো, চালক আর সুপারভাইজারের গালে জোরে একটা থাপ্পর দিই। কিন্তু সেতো সম্ভব নয়! বিবেক বাধা দিলো।
দুই ঘন্টা ১০ মিনিট সময়ে ব্রান্মবাড়িয়ে নামিয়ে দিলো। রাস্তা কিছুটা খারাপ। মেরামতের কাজ চলছে। রাত ১১ টা ১০ এ ব্রান্মনবাড়িয়া এসে নামলাম। ভাবলাম এই লক্কর-ঝক্কর সার্ভিস নিয়ে কিছু লিখবো। অন্তত মানুষকে কিছু অবগত করার দরকার। বিশেষ করে ব্রান্মনবাড়িয়া হয়ে যারা সিলেট – হবিগঞ্জ – মৌলবীবাজারে যাতায়াত করে। অন্তত এই লক্কর-ঝক্কর বি.আর.টি.সি পরিত্যাগ বা অবাঞ্চিত ঘোষণা করা উচিৎ। নয়তো এদের খামখেয়ালি, ম্যানেজমেন্টে বিশৃঙ্খলা, যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত টাকা আদায়, দিনের পর দিন বেড়েই চলবে। সকলকে সোচ্চার হওয়া দরকার, দরকার প্রতিবাদের ভাষা। বিশেষ করে ব্রান্মনবাড়িয়া, কুমিল্লা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলবীবাজার, ময়মনসিংহবাসী সবার প্রতি আমার নিবেদন, এই সার্ভিস অবাঞ্চিত ঘোষণা করে এই পোস্টটি দেশবাসীর কাছে ছড়িয়ে দিন যাতে অন্তত মানুষ জানতে পারে। আসলে কি সেবা পাচ্ছি এই পরিবহন থেকে। অন্তত সাধারণ জনগণ যেনো আর ভুক্তভোগী না হয়।
আপনার মন্তব্য লিখুন