সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে হামলার অভিযোগ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৩:১৮ অপরাহ্ণ , ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
মোঃ তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া)ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলাকারীরা জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত এক নারী চিকিৎসককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই কর্মচারী ওই নারী চিকিৎসককে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা তাদেরকেও কিল-ঘুষি মারে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নোমান মিয়া বলেন, সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ১২ বছরের এক শিশু রোগীকে কয়েক ব্যক্তি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রোগীর শরীরের ক্ষতস্থান থেকে প্রচন্ড রক্ত বের হচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ওই রোগীকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
এর কিছুক্ষণ পরেই এইচ এম বাবুল ও মোস্তাকিম মিয়া এই দুইজনের নেতৃত্বে ৮/১০জন লোক এসে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালান। তারা জরুরি বিভাগের কক্ষের চেয়ার, টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এ সময় দায়িত্বরত নারী চিকিৎসককে তারা মারধোর করেন। এতে বাধা দিলে চিকিৎসকের সহকারী ও নৈশ প্রহরীর ওপর হামলা চালান তারা। হামলাকারীরা ওই শিশু রোগীর সঙ্গে আসা ব্যক্তি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
নোমান মিয়া বলেন, হামলার ঘটনার আংশিক হাসপাতালের এক কর্মচারী মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করেন। পুলিশ ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করে হামলাকারী কয়েকজনকে শনাক্ত করেছে। এদের বাড়ি উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামে।
জানা গেছে, এ হামলার নেতৃত্বে থাকা এইচ এম বাবুল তেরকান্দা গ্রামের মরমুজ আলীর ছেলে এবং মোস্তাকিম মিয়া একই গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। ওই শিশু রোগীর নাম চৈতী আক্তার। সে তেরকান্দা গ্রামের আতাহার আলীর মেয়ে। তাকে বাড়িতে থাকা একটি মহিষ শিং দ্বারা উপর্যুপরী আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।
এদিকে হামলাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নোমান মিয়া।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন মুহাম্মদ নাজমুল আহমেদ বলেন, হামলার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন