ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ, ৯৯৯ ফোনে উদ্ধার।।
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:২৩ অপরাহ্ণ , ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ে টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে।
অপহরণের চার ঘণ্টা পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে শাহীন আলম(২৫) নামের ওই ব্যবসায়ীকে পুলিশের সহযোগিতায় পরিবারের লোকেরা উদ্ধার করেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের বিরাসার থেকে পরিবারের লোকেরা তাকে উদ্ধার করেন।
অপহৃত শাহীন আলম উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কুড্ডা আইনুদ্দিন বাড়ির শাহ জাহান মিয়ার ছেলে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর মডেল থানার কুড্ডা গ্রাম থেকে এক ব্যক্তি ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’-এ ফোন করে জানান তার ভাতিজাকে জেলা শহরের কাউতলী থেকে অপহরণ করা হয়েছে।
অপহৃত ব্যবসায়ীর চাচা শাকিল জানান, তার ভাতিজা একজন ইলেকট্রনিকস এর ব্যবসায়ী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর ইলেকট্রনিকস সামগ্রী এনে বাসুদেব বাজারে বিক্রি করেন। তার ভাতিজার আজকে বিকেলে দোকানের মাল আনার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউতলী গেলে ওইখান থেকে ৪-৫ অপহরণকারী শাহীন আলমকে মোটর-সাইকেলসহ অপহরণ করেন । এরপর তারা অপহরণকারীদের ফোন কল পান, ‘তার ভাইকে জীবিত ফিরে পেতে চাইলে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।‘
তিনি আরও জানান, তারা ইতিমধ্যে অপহরণকারীদের একটি বিকাশ নম্বরে দেন। কিন্তু আর টাকা দেয়ার সামর্থ্য এই মুহূর্তে তাদের নেই। তারা কীভাবে শাহীন আলমকে উদ্ধার করবেন বা সদর মডেল থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বুঝতে পারছিলেন না। কোনো উপায় না পেয়ে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করেন।
৯৯৯ থেকে কলারের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করেন। সদর থানা পুলিশ উদ্ধার অভিযান ও ৯৯৯ থেকে কলারের
ফোন পেয়ে শাহীন আলমকে বিরাসায় রেখে
পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে পুলিশ ও পরিবারের সহযোগিতায় শাহীন আলম উদ্ধার হয়।
এদিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, অপহরণ করেছে বলে এখনোও কোন অভিযোগ হয়নি। তবে একটি ছেলেকে তুলে নিয়ে মারধরের করেছে বলে জানতে পেরেছি। অপহরণ নাকি পূর্বশত্রুতা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন