ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটের আকাঙ্খা
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ , ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি:ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটের আকাঙ্ক্ষা প্রার্থী-ভোটারদের। এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, পুলিশি হয়রানি, কেন্দ্র দখল সহ নানা অভিযোগ রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। এরআগে প্রচারণাতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন তারা। এসব কারণে ভোট সুষ্ঠুু হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও প্রশাসন বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নেয়া হয়েছে পদক্ষেপ। চতুর্থ ধাপে রোববার ভোট হবে এই পৌরসভায়। এখানে মেয়র পদে ৪ জন এবং কাউন্সিলর সংরক্ষিত ও সাধারণ পদে মোট ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের তাকজিল খলিফা কাজল, বিএনপি’র জয়নাল আবেদীন আব্দু, স্বতন্ত্র নারিকেল গাছ প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক ভূইয়া এবং মোবাইল ফোন প্রতীকে যুবলীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সবাই জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তবে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এক্ষেত্রে সুষ্ঠু ভোট কামনা করেন। বিএনপি’র জয়নাল আবেদীন আব্দু বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারলে তার জয় সুনিশ্চিত। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নূরুল হক ভূইয়া বলেন, ফেয়ার ভোট হলে বিপুল ভোটে আমি জয়ী হব। সেটা আমার নয়, মানুষের মনের কথা। তার ছেলে চলচ্চিত্র অভিনেতা জিয়াউল রওশন ৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে রয়েছেন ভোটের মাঠে। পিতার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। ভোটের দিনও থাকবেন। রওশন বলেন, মানুষ চান পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করতে। গত ১০ বছর ধরে ভোট দিতে না পারার কষ্ট রয়েছে এই পৌরসভার মানুষের। নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারা তাদের প্রধান আকুতি। কোন ছলছাতুরি এবং গন্ডগোল না হলে তার বাবা ৮৫ পার্সেন্ট ভোট পাবেন বলেও জানান। স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সবাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তাকজিল খলিফা কাজল বলেছেন, নৌকার গণজোয়ার দেখেই এসব অবাস্তব কথাবার্তা বলা হচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আখাউড়া পৌরসভা। পৌরসভার মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ২৩০ জন এবং নারী ভোটার ১৪ হাজার ৬৭৫ জন।
আপনার মন্তব্য লিখুন