১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

সরাইলে ইটভাটার কারণে হুমকির মুখে আবাদী ফসলি জমি।।

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ , ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

মোঃ তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া)পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ আকাশি বিলে,শাহবাজপুর ও শাহজাদাপুর এলাকায় ফসলি জমিতে নির্মাণ করেছে ইটভাটা। এমনকি নেয়া হয়নি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের অনুমতি।
ইটভাটা নির্মাণে আশপাশের কয়েকশ’ একর আবাদী জমির ফসল নষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। উপজেলার এ সব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এক বছর আগে যেখানে ধান আবাদ হতো সেখানে এখন নির্মাণ ইটভাটা।শ্রমিকরা পুরোদমে ইট উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছেন। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। নির্মিত ইটভাটার পাশের জমিতে চলছে বোরো রোপণ কার্যক্রম।
ইটভাটা নির্মাণ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেয়নি ভাটা কর্তৃপক্ষ। এমনকি জেলা প্রশাসনের অনুমতিও নেয়নি। ইটভাটা নির্মাণে হুমকির মুখে পড়বে কয়েকশ’ একর আবাদী জমি।
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরাইলে অবাধে গড়ে উঠছে ইটভাটা। এসব অনুমোদনহীন ইটভাটার কারণে পরিবেশ বিপর্যয় ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে একরের পর একর কৃষি জমি। এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় চালাইতেছে ইটভাটা । যেন দেখার কেউ নেই।
জানা যায়, সরাইলে প্রায় ৪১ টির মতো ইটভাটা রয়েছে।এরমধ্যে ২২ টি ইটভাটার লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বন্ধ বাকিগুলো নামকাওয়াস্তা আবেদন করেই অবৈধভাবে করছে ইটের ব্যবসা।
নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন। ফসলি জমি ও ঘনজন বসতি এলাকাগড়ে তুলেছে ইটভাটাগুলো।
ফলে একরের পর একর ফসলি জমির ক্ষতির পাশপাশি মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছে। জনবসতি এলাকায় গড়া তোলা ইটভাটার ধোঁয়ায় দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট, ফুঁসফুঁস, চর্ম, হাঁপানি, যক্ষ্মাসহ নানান রোগীর আধিক্য। স্থানীয়দের অভিযোগ ইটভাটার কারণে উৎপাদন হারিয়েছে আবাদি জমিসহ ফল ফলাদির গাছ। তবে বৈধ কোনো কাগজপত্র ছাড়াই উপজেলার বহু ইটভাটার তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। জন বসতিতে গড়ে তোলা অবৈধ ইটভাটা গুলোর অপসারণের দাবি স্থানীয়দের।
কৃষকরা জানান, আবাদি জমিতে এভাবে ইটভাটা নির্মাণের বিপক্ষে এলাকার সবাই। কিন্তু ভাটার মালিক এলাকার খুব প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না। ফসলি জমির পাশের জমিতে ইট ভাটার কারণে আশপাশের অন্য জমিগুলোতে কোনো আবাদ হবে না।
তবে ইটভাটার জায়গাটি আবাদী কি না সে ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর, কৃষি বিভাগের প্রত্যয়নপত্র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং প্রশাসনের অনাপত্তি, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন কাগজপত্র লাগে। কিন্তু উপজেলার অনেক ইট ভাটার মালিকের কাছে কোনো কাগজপত্র নেই।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত ) উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার ( এ্যাসিল্যান্ড) ফারজানা প্রিয়াঙ্কা এ প্রতিনিধি’কে বলেন, সরাইলে প্রায় ৪১ টির মতো ইটভাটা রয়েছে।এরমধ্যে ২২ টি ইটভাটা অনুমোদিত। এরই মধ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান চালিয়েছে। বাকী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন