১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

সরাইলে শীতের প্রকোপে লেপ- তোষকের কদর বাড়ছে

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ , ২৬ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

মোঃ তাসলিম উদ্দিন সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোষকের কদর বাড়ছে।
সরাইলে লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বেডিং দোকান মালিক ও শ্রমিকরা। শীতকালে প্রচন্ড শীতের প্রকোপ দেখা দেয়। এখন মনে হয়ে থাকে হাড়কাঁপানো শীত। এ শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় লেপ-তোষকের। লেপ-তোষক না থাকলে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মানুষ শীতে কাতর হয়ে পড়ে। সরাইল উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের হাওরবেষ্টিত এলাকা।তাই এ অঞ্চলের মানুষের শীতকালে লেপ-তোষকের বেশী প্রয়োজন হয়। সেজন্য সবাই লেপ-তোষক তেরী করে নিতে বা ক্রয় করতে ছুটে চলে আসে বেডিং দোকানে। শিমুল তুলার লেপ-তোষক ও বালিশের সবচেয়ে চাহিদা বেশি রয়েছে। এ কারণে শিমুল তুলার মূল্যও অনেকটা বেশি। শিমুল তুলা ৪০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি ও কাবাস তুলা ১৯০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। বর্তমানে ৬০০ থেকে ৯০০০ টাকা দরে লেপ পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি দরে তোষকও পাওয়া যাচ্ছে। সরাইল উপজেলা বিভিন্ন বেডিং হাউজের মালিকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এখন অনেক শীত পড়েছে। তাই লেপ-তোষক তৈরীর অনেক অর্ডার আসছে। অনেকেই তাদের পছন্দের লেপ-তোষক তৈরী ও ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। আমারা শ্রমিকের সাথে নিজেও কাজে অনেকটা ব্যস্ত রয়েছি। এ সময়ে দ্রুতগতিতে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরী করে দিতে হচ্ছে। ৬০০ থেকে ৯০০০ টাকা দরে ভালো লেপ তৈরী করে দিচ্ছি এবং বিক্রয় করছি। তুলা ও লেপ-তোষকের বাজার দর গত বছরের মতোই রয়েছে। তার শ্রমিকের সাথে কথা হলে সে বলেন, আমরা ১০,০০০ টাকা মাসিক বেতনে কাজ করছি। এখন আমরা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত আছি। শুধু সরাইলে নয় সারাদেশে তথা বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোষক তৈরীর কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বেডিং দোকান মালিক ও শ্রমিকরা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন