১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

৯০ শ্রমিক-কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ রংপুর চিনিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ , ৩ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা ::গাইবান্ধা জেলার কৃষিভিত্তিক একমাত্র ভারিশিল্প কারখানা মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলের ৯০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করার প্রতিবাদে শনিবার সকাল সোয়া নয়টা থেকে বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত চার ঘন্টা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে তার অফিসে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।

এ সময় চিনিকলের অন্যান্য বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারাও আটকে পড়েন সেখানে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ এসে সেখানে অবস্থান নেয়। শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়লে সকাল সাড়ে ১১টায় গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আারও কয়েকজন পুলিশসহ এসে উত্তেজিত শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে দুপুর একটায় গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো: আব্দুল মতিন টেলিফোনে শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে সোয়া একটায় অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা।

শ্রমিক নেতারা বলেছেন, সরকারি নিয়োগবিধি মেনে করপোরেশনের সদর দপ্তরের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত কমিটির কাছে পরীক্ষা দিয়ে প্রায় এক যুগ ধরে চাকুরী করছেন এই কানামনা (কাজ নাই, মজুরী নাই) ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীরা। সেখানে বছরের শেষ দিনে মৌখিক নির্দেশে কারও চাকুরী যেতে পারে না। অন্যায় এ সিদ্ধান্ত শ্রমিকরা কোনভাবেই মেনে নেবে না। রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে অবরোধ চলাকালে শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা অভিযোগ করে বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার চীফ অব পার্সোনেল মো: রফিকুল ইসলাম প্রেস রিলিজে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন, আখ মাড়াই ¯’গিত হওয়া চিনিকলগুলোর কোন শ্রমিক-কর্মচারীর চাকুরী যাবে না। তাদের বেতনভাতা আগের মতই নিয়মিত প্রদান করা হবে। কিš‘ কোন প্রজ্ঞাপন বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এ চিনিকলের কারখানা বিভাগের ৯০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে ৩১ ডিসেম্বর মৌখিকভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা কেউ মেনে নেবে না।

এ দিকে টানা পাঁচ মাস বেতন বকেয়া থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করা শ্রমিকরা হঠাৎ চাকুরী হারিয়ে অথই জলে পড়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে শ্রমিকদের চাকুরী না থাকার কারণ চিনিকল কর্তৃপক্ষ এখনও চাষীদের জমি থেকে আখ সংগ্রহ করতে না পারায় ক্ষেতে আখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে প্রতিদিন বিপুল অংকের লোকসানে পড়তে বাধ্য হচ্ছেন আখচাষীরা। ইতোমধ্যে অনেক জমির আখ শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। সময় মত আখ কাটতে না পারায় ওই জমিতে অন্য ফসলও আবাদ করতে পারছেন না তারা বলে অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: নূরুল কবির জানিয়েছেন, আখ মাড়াই বন্ধ হওয়ায় কারখানায় কোন কাজ না থাকায় কানামনা ভিত্তিক ৯০ জন শ্রমিককে প্রথম পর্যায়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আমি জরুরী কাজে ঢাকায় যাচ্ছি। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে এসে তাদের নিয়োগের জন্য চেষ্টা করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন