১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

নতুন বছরে জাগবে জীবন

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ , ২ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

মোবারক হোসেন চৌধুরী (নাছির): মাত্র ১১ মাসের মধ্যেই অদম্য মানুষ আর বিজ্ঞানের জাদুকরী শক্তিতে হাতে এসে করোনা প্রতিরোধের ভ্যাকসিন। এটি বলতে এই শতকের বড় এক বিস্ময়। এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো নতুন বছরে পুরো বিশে^র মানুষকে এই ভ্যাকসিনের আওতায় আনা। ধনী-গরিব সব মানুষ আর কাছে- দূরের সব দেশ যেন সমান ভাবে এই ভ্যাকসিনের ন্যায্য হিস্যা পায় তা নিশ্চিতই হচ্ছে নতুন বছরের সব চেয়ে বড় প্রত্যাশা। দেশে এই চ্যালেঞ্জ টি আরো বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ কতো মানুষ কখন কী ভাবে করোনার ভ্যাকসিন পাবে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। করোনার ভ্যাকসিন ঠিক করে দেশে আসবে তার ও দিন তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। তবে সবার আশা নতুন বছরের শুরুতেই দেশে ভ্যাকসিন পৌছাবে। এ বছরের মধ্যেই সবার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত হবে। নতুন বছরে মানুষ করোনা মুক্ত জীবনে ফিরতে পারবে। করোনার শিকল থেকে বেরিয়ে আসবে মানুষের জীবন আর জীবকা। নতুন বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধ দুয়ার খুলবে – এমন আশা দেশের কোটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক আর অভিভাবকের। অর্থনীতির মন্থর চাকা নতুন বছরে সচল হবে, এমন আশা নিয়ে তাকিয়ে সবাই। করোনার কারণে রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীদের জন্য শ্রম বাজার আবার উনু¥ক্ত হবে- এমন প্রত্যাশা সবার। একই সঙ্গে ঝিমিয়ে পড়া দেশের রাজনীতির মাঠ আবার সচল হবে, মাঠের রাজনীতির মাঠে গড়াবে এমন প্রত্যাশা রাজনৈতিক দলগুলোর। মহামারিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কৌশলের কারনে সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে বিধি নিষেধ ছিল বিদায়ী বছর জুড়ে। নতুন বছর মানুষ আবার আগের মতোই সাংস্কৃতিক মেল বন্ধনে জাগবে, সামাজিক কর্মসূচিতে একে অন্যের পাশে দাঁড়াবে সশরীরে- এমন আশা আমাদের সবার। ইংরেজী নতুন বছর ২০২১ সাল উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো: আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক বানীতে তারা ও মাহামারির ধকল কাটিয়ে নতুন বছরে নতুন প্রাপ্তি আর সম্বাবনায় এগিয়ে যাওয়া আশা প্রকাশ করেছেন। নতুন বছরটি সবার জন্য অমিত সম্বাবনা আর প্রত্যাশিত প্রাপ্তি নিয়ে আসুক- এটাই সবার চাওয়া সবাই ভাল থাকার শুভেচ্ছা।

কালের গহ্বরে হারিয়ে গেল আরো একটি বছর। নতুন প্রভাতের আলো নিয়ে দুয়ারে হাজির নতুন আরেকটি বছর।শতাব্দির ভয়াবহ মহামারির কবলে পড়া বিদায়ী ২০২০ সালটি যেন ছিল এক বিষময় বছর। মহামারির বিষাক্ত ছোবলে এক বছর পৃথিবী নামের ব্যস্ত এক গ্রহ অচেন্য রূপ পেয়েছে। সর্ব গ্রাসী করোনা এ পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে ১৮ লাখের বেশী মানুষের জীবন। আট কোটির বেশী মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এই ভাইরাসে। খাতা কলমের এই হিসাবের বাইরে মৃত্যু আর শনাক্তের সংখ্যা আরো ঢের বেশী। বিদায়ী বছরটি বিশ^বাসীর মতো বাংলাদেশে ও ছিল ঘটনা বহুল। মহামারির ছোবলে নীল হয়ে যাওয়া জনজীবন এক বছরে ও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেনি। বছর জুড়ে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে এ কোনো নিশ্চয়তা নেই। শিল্প বানিজ্যে স্থবিরতা । রাজনীতির মাঠ যেন খাঁ খাঁ মরু। জীবন জীবকার কঠিন এক যুদ্ধে মানুষ। যে প্রবাসীদের পাঠানো ডলার সচল অর্থনীতি সেই প্রবাসীরা আছেন মুসিবতে। তাদের অনেকে দেশে ফিরে কর্মহীন । কেউ আবার বিদেশেই বেকার জীবনের ঘানি টানছেন। যারা কাজ করতে পারছেন তাদের সামনে ও আছে নানা অনিশ্চয়তা। এমন অবস্থায় নতুন বছরকে বরণ করা হচ্ছে দুনিয়ার দেশে দেশে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিধি নিষেধের মধ্যে বন্দি এবারের বর্ষবরণ। নতুন বছরকে বরণ উৎসবের জৌলুস ও কেড়ে নিয়েছে ভয়াল করোনা। দেশে বর্ষবরণে এবার বড় কোনো আয়োজন ছিল না উম্মুক্ত অনুষ্ঠান হয়নি। ছাদে অনুষ্ঠান করার ও অনুমতি ছিল না। সন্ধার আগেই চলাচল বন্ধ করে দেয় হয়। তারপর ও মানুষ যে যে ভাবে পারেন নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছেন নতুন আশা আর প্রাপ্তির স্বপ্ন জড়িয়ে। সবার আশা নতুন বছরটা অনন্ত যেন ২০২০ এর বিষমুক্ত হয়। করোনা মহামারি কাটিয়ে আগের মতোই যেন মুক্ত পৃথিবী ফিরে আসে। পৃথিবীর দেশে দেশে বর্ষবরণ ও করা হয়েছে এমন প্রত্যাশা নিয়ে। বিশেষ করে বিদায়ী বছরের শেষটা ছিল আশা জাগা নিয়া। এক বছর করোনায় পুরো পৃথিবী কাবু হয়ে থাকলে ও ভ্যাকসিন পেয়ে নতুন আশা জাগাতে শুরু করেছে মানুষের মনে। দেশে দেশে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ । অচেনা এক ভাইরাস মানুষকে ঘরবন্দি করতে পারলে ও দমিয়ে রাখতে পারেনি।

বিদায় ২০২০ এক নি:শব্দ ঘাতক বছর স্বাগত ২০২১

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন