চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও জামালপুর সদরের ওসির প্রত্যাহারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন।।
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১১:০৯ অপরাহ্ণ , ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
মো.আজহার উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও ওসির প্রত্যাহার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল(সদর) হাসপাতালের সামনে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন(বিএমএ) জেলা শাখার এর ডাকে চিকিৎসকদের এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন(বিএমএ) এর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর জেলার শাখার সভাপতি ডা. আবু সাঈদ।
জেলা বিএমএ ও স্বাচিপের নেতাকর্মীদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. ফখরুল আলম আশেক, ডা. রানা নুরুল সামস, ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ ও ডা. খোকন দেবনাথ, ডা. আইরিন হক ও ডা. মারিয়া পারভীনসহ জেলা সদর হাসপাতালের অর্ধশতাধিক চিকিৎসক, নার্সসহ টেকনোলজিস্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
চিকিৎসকনেতা ডা. আবু সাঈদ বলেন, চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতকরণ, সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহার, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক নিরাপত্তা প্রদান-এই তিন দফা দাবিতে চিকিৎসকদের এ মানববন্ধন। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে ও পরবর্তী আরও কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানান।
তাছাড়া জেলার অর্ধশতাধিক চিকিৎসকসহ সদর উপজেলার টিএইচও ডা. শাখাওয়াত হোসেন শামীম, সরাইল উপজেলার টিএইচও ডা. নোমান মিয়া, নাসিরনগর উপজেলার টিএইচও ডা. অভিজিৎ রায়, আশুগঞ্জ উপজেলার টিএইচও ডা. নুপুর সাহা, বিজয়নগর উপজেলার টিএইচও ডা. মাসুম মিয়া, আখাউড়া উপজেলার টিএইচও ডা. রাশেদুল ইসলাম, কসবা উপজেলার টিএইচও
ডা. মামুনুর রশীদ, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার টিএইচও ডা. আব্দুল্লাহ আল-মামুন, নবীনগর উপজেলার টিএইচও ডা. হাবিবুর রহমান।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এক অসুস্থ নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বহিরাগতদের হামলা, কক্ষ ভাঙচুর, মেডিক্যাল অফিসারকে মারধর এবং বহিরাগত ও ইর্ন্টানি চিকিৎসকদের মধ্যে সংর্ঘষের সময় এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন