পলাশবাড়ী সোনালী ব্যাংকে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া হয় ব্যাংকিং সেবা
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৯:১৭ অপরাহ্ণ , ৫ নভেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা ::ধরতে হয় না দালাল ,ঘুরতে হয় না দিনের পর দিন, দিতে হয় না কোন প্রকার ঘুষ । করোনা কালিন সময়েও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখায় গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা ও শতভাগ প্রাপ্ত সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার (ম্যানেজার) নাজমুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে সোনালী ব্যাংকের এই শাখাটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা । করোনার এই সময়কালে তারা শত প্রতিবন্ধকতাকে হারমানিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে লাগাতার ভাবে শাখাটির গ্রাহকদের পূর্ন সেবা প্রদান করেছেন। ছুটির দিন ব্যথিত কোন দিন এ শাখাটির কার্যক্রম বন্ধ করনেনি ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম সরকার। তিনি করোনা কালিন সময়ে কর্মকর্তা কর্মচারিদের নিয়ে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিয়ে গেছেন। আর গ্রাহকদের হয়রানি না করে চাহিদা মাফিক সেবা প্রদান করার কারণে ও এ শাখাটির বিগত সময়ের থাকা দালাল চক্রকে হঠিয়ে দালাল বিহীন শাখায় রুপান্তর করায় গ্রাহকদের পুর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছেন ।
এদিকে শাখাটির ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম সরকারের এ সফলতা ও গ্রাহক জনপ্রিয়তা দেখে বিগত সময়ে এই শাখাটিকে ঘিরে রাখা দালাল চক্রের চোখের ঘুম হারাম হয়ে যায়। এ চক্রটি নানা সময়ে নানা প্রকার অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্য করে শাখাটি হতে লোন সুবিধা পাইয়ে দিতো স্থানীয়দের। কিন্তু বর্তমান সময়ে দালাল মুক্ত সোনালী ব্যাংক শাখা রুপান্তর হওয়ায় এ চক্রটি ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম সরকারকে অনত্র বদলি করতে উঠে পড়ে লাগেন। এ চক্রটি একজন ব্যক্তিকে দিয়ে প্রিন্সিপাল শাখার জিএম, বিভাগীয় শাখার ডিজিএম, প্রধান শাখার ডিজিএম বরাবরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে । স্থানীয় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে মিথ্যা তথ্যের সাজানো একটি সংবাদ প্রকাশ করে । এরপর উক্ত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত পত্রিকার প্রতিনিধিগণ সংবাদটির প্রতিবাদ জানান ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম সরকার । চক্রটির সেই কর্মকান্ড ভেস্তে গেলে আবারো তারা উঠে পড়ে লাগে এরপর হতে তারা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে নানা ধরণের মিথ্যা কুৎসা ও গুজব ছড়াতে থাকে আর এতে করে প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমকর্মীদের নানা ধরণের আপত্তিকর প্রশ্নে মুখোমুখি হতে হয় শাখাটির ম্যানেজার কে।
সরেজমিনে গিয়ে ব্যাংক সুত্রে আরো জানা যায়, শাখাটিতে প্রায় ৫০ হতে ৫৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এশাখাটিতে কারেন্ট ও সেভিং একাউন্ট ধারীর সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার,ঋান গ্রহনকারীর সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার,কৃষি ঋান গ্রহনকারী ও এসএমই ঋান প্রায় ১০ হাজার ,কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন ভাতা ভোগী,পেনশন ভোগী প্রায় ২ হাজার। এছাড়াও ডিডি ও প্রে-অর্ডার সেবা প্রদান করা হয়। এ শাখাটির ২৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর চাহিদা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারি সংখ্যা রয়েছে ১৪ জন । আর ১৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দিয়েই শাখাটির গ্রাহক দের সেবা প্রদানে কিছুটা বেগ পেতে হয় কর্মকর্তাদের । এর মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব বা কুৎসা রটানো হচ্ছে তখনো তারা গ্রাহকদের প্রাপ্ত সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত ।
সোনালী ব্যাংকের এ শাখাটিতে আসার সেভিং একাউন্টধারী পৌর এলাকায় রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন গ্রাহকের নিকট জানা যায়, শাখাটিতে যে কোন গ্রহক সুবিধার বিষয়ে কোন প্রকার সমস্যা বা জটিলতা দেখা দিলে ম্যানেজারের নিকট গেলে শাখাটির ম্যানেজার সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন আন্তরিকতার সহিত এবং গ্রাহককে সহজেই বোঝাতে সক্ষম হন ।
আসাদ,লোকমান,শিক্ষক শামসুল,পেনশন ভোগী রহিম উদ্দীন,ব্যবসায়ি আতিকুর এছাড়াও বেশ কয়েকজন গ্রাহকের সাথে আলোচনা করে জানা যায়, শাখাটিতে বিগত সময়ের মতো কোন সুবিধা পেতে কোন দালাল ধরতে হয় না । কোন সুবিধা পাওয়া যোগ্যতা থাকলে সে অনুযায়ি ব্যাংকটির প্রাপ্ত সুবিধা পেয়ে থাকেন কোন প্রকার হয়রানি হতে হয় না বা কাউকে কোন ঘুষ দিতে হয় না ।কেবল ঋানগ্রহিতার কাগজ পত্র সরেজমিন সত্যতা যাচাই বাছাই করে ব্যাংকিং শর্ত অনুযায়ী ঋান সুবিধা প্রদান করা হয়। তারা আরো বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে শাখাটিতে জনবল সংখ্যা কম হওয়ার পরে প্রতিদিন শাখাটিতে ১ হতে দেড় হাজার গ্রাহক এ শাখাটি হতে সেবা গ্রহন করে থাকেন। শাখাটির ম্যানেজার সহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা আন্তরিকতার সহিত সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে গ্রাহকদের প্রাপ্ত সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে সোনালী ব্যাংকের পলাশবাড়ী শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিন্সিপাল অফিসার (ম্যানেজার) নাজমুল ইসলাম সরকার বলেন, কি আর বলবো সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করার পরেও যখন আমাদের নানা প্রকার প্রশ্নে সম্মুখিন হতে হয় তখন অনেক কষ্ট হয়। দেখেন বিগত সময়ে করোনাকালিন উপজেলার অন্যান্য ব্যাংকের শাখা গুলোতে কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও একমাত্র সোনালী ব্যাংকের এ শাখাটির কর্মকর্তা কর্মচারিদের নিয়ে ব্যাংকের কার্যক্রম চালিয়ে এসেছি। এখন সময় তিনটা বেজে গেলেও গ্রাহক সেবার চাহিদার কারণে টেবিল হতে উঠতে পারিনি দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য এরপরেও দূরে হতে মোবাইলে যখন কেউ প্রশ্ন করেন আপনি ঠিক মতো অফিস করেন না তখন আসলে একটু হলেও খারাপ লাগার কথা। যাই হোক যে যাই বলুক আমার গ্রাহকরা তো আর কেউ মিথ্যা বলবে না । আমি এবং আমাদের এই শাখাটির প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মচারি সত্যতার সহিত সঠিক ভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকের প্রাপ্ত সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন উপস্থিত গ্রাহকদের কাছে শুনে আশা করি বাস্তবতা তুলে ধরবেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন