সরাইলে চলছে সুদের ব্যবসা— শকুনি মামাদের পকেট ভারি”
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ণ , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
মোঃ তাসলিম উদ্দিন সরাইল প্রতিনিধিঃ এই ব্যবসার মাধ্যমে টিনের ঘর থেকে দু’তলা বাড়ি পর্যন্ত বানিয়েছেন। অথচ সুদ ব্যবসায়ীদের এমন কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও নেই কোন পদক্ষেপ। যে কারণে ঋণের নামে এসব শোষণ বেড়েই চলছে।প্রতিদিন, সাপ্তাহিক, মাসিক বা বিভিন্ন নিয়ম সাজিয়ে এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকের আশ্রয় উপজেলায় বেড়েই চলছে জমজমাট সুদ ব্যবসা। মানুষকে নিঃস্ব করার অন্যতম এ ব্যবসা ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার সকল গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। সুদ ব্যবসা ব্যপক আকার ধারণ করেছে। সুদ ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছে সমাজের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ মানুষগুলো। এ উপজেলার অনেক জায়গায় কয়েকজন মিলে বিভিন্ন নামে সমিতি গঠন করেছে। কিন্তু এদের কোন সরকারি অনুমতি নেই। কোন এনজিওর সাথেও তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু দিনের পর দিন কোন বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সুদের ব্যবসা। এসব ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে সমাজের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবার গুলো। অনেকেই বিপদ-আপদে পড়ে বাধ্য হয়ে সুদের টাকা নিয়ে থাকেন। পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য সুদ ও আসল টাকা পরিশোধ করতে না পারলেই সুদ ব্যবসায়ীদের হাতে লাঞ্ছীত হতে হয়। এ নিয়ে এলাকায় প্রতিনিয়ত দাঙ্গা লেগেই থাকে। কখনো এ দাঙ্গা গ্রামে গ্রামে হয়ে থাকে। এই দাঙ্গার মাধ্যমে দুদিক থেকে পয়সা কামান শকুনি মামারা?জানাযায়, অনেক সময় সুদের টাকার ভাগে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।সরাইল উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, যেমন কালিকচ্ছ বাজার এলাকায় কয়েক জন নামকরা সুদ হুরের কারণে এলাকায় শান্তি নষ্ট হচ্ছে। সরাইল সদরে দোকানে মাল নেই কিন্তু চেয়ার- টেবিল আছে অন্তরালে সুদের ব্যবসা। গ্লাসের দরজা খুলে চোখে পরবে একজ বসা খাত- পত্র নিয়ে। তিনি সুদের নামে চেক- স্ট্যাম্প পর্যন্ত ব্যবহার করে। এই চলছে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা। কে শুনে কার কথা -? এদিকে সদরসহ,
অরুয়াইল বাজার, শাহবাজ পুর বাজারে, পানিশ্বর বাজারে বা অনেক গ্রামে সুদ ব্যবসায়ীরা মহাজনি প্রথায় চালাচ্ছেন সুদ ব্যবসা।গ্রাম এলাকা গোরে জানাযায়,এসব সুদ ব্যবসায়ীদের চক্রবৃদ্ধি সুদের রোষানলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ অসহায় মানুষ। আর্থিক প্রয়োজনে বেকায়দায় পড়ে এসব সুদ ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়েছে মধ্যবিত্ত কৃষক, বর্গাচাষী, স্বল্প আয়ের লোকজনসহ অনেকে। কেউ ব্যবসা করতে, বিদেশ গমনে, সিএনজি ক্রয়ে বা বিভিন্ন অসুবিধায় সুদ ব্যবসায়ীদের নিকট চড়া সুদে টাকা নিয়ে ১০০/৩০০ টাকার সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর বা টিপ দিয়ে টাকা নিতে হয়। আর ওই সব সাদা ষ্ট্যাম্পে সাক্ষী নেওয়া হয় সুদ ব্যবসায়ীদের পছন্দমত ব্যক্তিদের এবং ইচ্ছামত তারা ষ্ট্যাম্প পূরণ করে রাখেন কিংবা প্রয়োজন মত লেখার জন্য ফাঁকা রাখেন। আর বেকায়দায় পড়া ব্যক্তিদের অনেকে সুদ ব্যবসায়ীদের চাপে বন্ধক রাখতে জমির দলিল পত্র, স্বর্ণালংকার, চাকরিজীবীদের মাসিক বেতনের চেকও বন্ধক রাখতে বাধ্য হচ্ছেন সুদ ব্যাবসায়ীদের কাছে। মাসিক, সাপ্তাহিক এমনকি দৈনিক ভিত্তিতে নগদ ঋণ দিয়ে দেড় থেকে দুই গুন মুনাফা লাভ করে।একদিকে যেমন সুদ ব্যবসায়ীরা সম্পদের পাহাড় গড়ছেন অন্যদিকে সাধারণ ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ দিন দিন গরিব ও ভূমিহীনে পরিণত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, সুদের ব্যবসা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে।
করোনা মাঝে সুদের ব্যবসা গ্রাম অঞ্চলের দ্বিগুণ বেড়েছে।এই ব্যবসায় পুরুষের পাশাপাশি মহিলা সুদ ব্যবসায়ী ও আছে। সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে সুদের টাকা আদায় করেন। তাই প্রবাদবাক্য দু-কাউয়া’র কা”কায়ে লাভ মান কুলি’র দল !কালো দাগ লাগিল সাদা বকের গায়ে-?? ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবি, সমাজ বিরোধী অবৈধ সুদ ব্যবসা উচ্ছেদে ও এলাকার শান্তি রক্ষায় এ দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন এ ব্যাপারে জরুরী পদক্ষেপ নিবেন বলে তাদের আশা।
আপনার মন্তব্য লিখুন