বিজয়নগর মাটি ভরাটে বাধা দেওয়ায় ওয়ার্ড সভাপতিসহ ১০জনকে পিটিয়ে জখম ।। থানায় মামলা
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১:০৭ অপরাহ্ণ , ২৭ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
মো. আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে মাটি ভরাটে বাধা দেওয়ায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতিসহ ১০জনকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ।থানায় মামলা হলেও আসামীরা পলাতক হওয়ায় এখনোও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি পুলিশ।
গত বুধবার (১৯ই আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের পাঁচগাঁও গ্রামের দক্ষিনপাড়ার পুকুরপাড় এ ঘটনা ঘটে।
মারামারির ২দিন পর শনিবার (২২ই আগস্ট) আহত সৈয়দ মিয়া বাদী হয়ে ১০জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় মামলা করেন। তবে এ মামলায় এখনোও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ই আগস্ট রাতে সৈয়দ মিয়ার জায়গায় ফরিদ মিয়া মাটি ভরাটে বাধা প্রদান করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরিশেষে ফরিদ মিয়া ১০-১৫জনকে সাথে নিয়ে দা-বল্লম দিয়ে সৈয়দ মিয়ার বাড়িতে হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠে। তাতে দু’পক্ষের মারামারিতে ১৫-২০ জন আহত হয়।
সৈয়দ মিয়াসহ তার ছেলে মেহেদী(২১), জাহিদ(১৯), মুজাহিদ(১৮) গুরুতর আহত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত সৈয়দ মিয়া বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের পাঁচগাঁও দক্ষিনপাড়ার মৃত আব্দুল সাত্তারের ছেলে। সৈয়দ মিয়া পাঁচগাঁও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ সোলাইমান মিয়া বলেন, মেহেদীর বাম চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
সৈয়দ মিয়া বলেন, তার ছেলে মেহেদীর ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে বাম চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছে। তার চোখের অস্ত্রোপচার হলেও বাম চোখটি টিকানো যায়নি। আহত মেহেদী এখনোও ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনেকদিন যাবত সৈয়দ মিয়ার সাথে ফরিদ মিয়ার পারিবারিক বিরোধ চলছিল। গত দুইমাস আগে ফরিদ মিয়া তার চাচাতো ভাই সৈয়দ মিয়ার জায়গায় মাটি ভরাট করেন। কেন জায়গায় মাটি ভরাট করেন, ওই ব্যাপার নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। ওই সময় সৈয়দ মিয়ার পক্ষের ১জনের ধাক্কায় ফরিদ মিয়ার পক্ষের ১জন আহত হয়। তখন সৈয়দ মিয়ার বিরুদ্ধে ফরিদ মিয়া বিজয়নগর থানায় মামলা করেন। তারপর গ্রাম্য সালিশে ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মিমাংসা হয়। পরবর্তীতে গত আগস্ট মাসের ৩ তারিখ আবার দু’পক্ষ মারমারিতে জড়িয়ে পড়েন। দু’পক্ষই থানায় আবার মামলা করেন। থানায় মামলাকে কেন্দ্র করে গত ১৯ই আগস্ট সৈয়দ মিয়ার পক্ষের লোকের উপর হামলা করেন ফরিদ মিয়ার পক্ষ। সৈয়দ মিয়া বাদি হয়ে ফরিদ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করলেও এখনো কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্ত আসামীদেরকে গ্রেফতার চেষ্টা চলছে। অপরাধী যে কেউ হউক ছাড় পাবে না।
আপনার মন্তব্য লিখুন