১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

বিয়ের আসর থেকে হঠাৎ বর-কনে ও অভিভাবকদের পলায়ন!

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১২:০০ পূর্বাহ্ণ , ১৩ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিয়ের আসর থেকেই পালিয়ে গেলেন বিয়ের বর এবং কনে। শুধু তাই নয়, সাথে পালিয়েছেন তাদের অভিভাবকরাও। অপরিণত বয়সের পাত্রীকে বিয়ে দেয়ার দায়ে প্রশাসনের দণ্ড-জরিমানার ভয়েই পালন তারা। শেষ পর্যন্ত ‘কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেয়া যাবে না’ মর্মে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা এলাকার।
বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর বংশীপাড়ায় আয়োজিত ওই বিয়ে বাড়িতে উপজেলার সহকারি কমিশনার(ভূমি) আসছেন, এই খবরেই বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে যান বর-কনে ও তাদের অভিভাবকেরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা যায়, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর বংশীপাড়ার এক যুবকের সাথে তারই মামাতো বোন পার্শ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্ধ গ্রামের বাসিন্দা ও নবম শ্রেণীর ছাত্রীর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় উভয়ের পরিবার। কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করলে ‘ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান’ চলতে পারে এই আশঙ্কায় কনেকে একদিন আগেই বরের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই আয়োজন করা হয় বিয়ের।এরই মাঝে বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার দুপুরে কসবা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসিবা খান পুলিশ নিয়ে আয়োজিত বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। এসিল্যাণ্ড পৌঁছার আগেই বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে যায় বর-কনে এবং তাদের অভিভাবকেরা। প্রশাসন বিয়ে বাড়িতে গিয়ে কাউকে খুঁজে পায়নি।পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
কসবা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসিবা খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাল্য বিয়ের ব্যাপারে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন