১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

EN

বাঁচার অনেক আকুতি ছিল যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের!!

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১:৪২ পূর্বাহ্ণ , ২২ জুলাই ২০২০, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

শেষ সময়ে উনি স্টিভ জবসের মতো যেই ডাক্তারকে দেখতেন তাকেই বলতেন:
“আমার সব সম্পদ দিয়ে দিবো। শুধুমাত্র আমার কষ্টটা একটু কমিয়ে দাও! আমি যে আর সহ্য করতে পারছি না।”

তিনি যখন এ্যাপোলোর আইসিইউতে,
ঘটনাক্রমে আমাকে শেষের ২দিন এ্যাটেন্ডেন্ট হিসেবে তার পাশের রুমটাতে থাকতে হয়েছিল।
তার আত্মীয় স্বজনকে সেভাবে দেখি নাই তাঁর খোঁজ নিতে। কোম্পানির উর্ধতনরা প্রায় প্রতিদিনই তটস্থ ছিলেন ও হাসপাতালের আশেপাশে বলতে গেলে পড়ে থাকতেন।
স্যারের কি কি লাগবে। কি কম হলো! যন্ত্রণা কতটুকু কমলো! আইসিইউয়ের ১৫ বেডে দরকার হলে স্যার একাই থাকবে ব্যাপার গুলো এমনই মনে হয়েছিল।
অন্যদিকে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট এর কার্যক্রম দেখে মনে হয়েছে পুরো হসপিটালেই একজন রোগী। হবারই কথা!
আফসোস করছিলাম, আর কথা বলছিলাম এক ডাক্তারের সাথে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে এয়ার এম্বুল্যান্সে চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১০/১২ জন ডাক্তার আনা হলো। কিছুতে কিছুই হলো না।
মৃত্যুকেই মেনে নিতে হলো! কি কঠিন সেই মৃত্যু! ?

মৃত্যুর সময়ে একজন কাছের মানুষের হাতের স্পর্শ পাননি! কারো সাথে বিদায় শব্দটি বলতে পারেননি! পরিবার প্রিয়জন কেউই পাশে ছিলো না, থাকার সুযোগও নেই। ভিষণ নি:স্তব্দ সেই রুমটায় আমি গতকাল গিয়েছিলাম। ভুতুড়ে পরিবেশ, আধো আলো। চারপাশে সবাই অর্ধমৃত মানুষ! আহারে…সম্পুর্ন সুস্থ লোকটি হঠাৎ এক অজানা ভাইরাস করোনার আঘাতে ২৫ দিনের মধ্যে নাই হয়ে গেলো।

কার জন্য, কিসের জন্য এতো প্রতিযোগিতা ও পরিশ্রম ?
আসুন মানবিক হই , বাস্তববাদী হই।

লেখক -ফারাবী হাফিজ
সংবাদ পাঠক

আল্লাহ তাকে বেহেশত নসীব করুক। আমিন

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

July 2020
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
আরও পড়ুন