আমরা শোকাহত:
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৪:৫৬ অপরাহ্ণ , ১৮ জুলাই ২০২০, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
ডাকাতি ও অস্ত্র মামলার পলাতক আসামী কর্তৃক ছুরিকাঘাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত এএসআই(নিঃ) আমির হোসেন এর মৃত্যুতে পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পুলিশ সুপার এএসআই (নিঃ) আমির হোসেন এর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত এএসআই(নিঃ) আমির হোসেন, পিতা-মনতাজ আলী, সাং-ডিয়ারচর, থানা-কোতয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহ গত ২৮/০৫/২০২০ খ্রিঃ বর্তমান কর্মস্থলে যোগদান করে। ১৭/০৭/২০২০খ্রিঃ বেলা ১৬.০৫ ঘটিকায় এএসআই (নিঃ) মনি শংকর চাকমা ও এএসআই(নিঃ) আমির হোসেনসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার জিডি নং-১০৫৫, তাং-১৭/০৭/২০২০খ্রিঃ মূলে মাদক দ্রব্য উদ্ধার অভিযান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাধীন মাছিহাতা ইউনিয়ন এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। বেলা ১৭.১৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার মামলা নং-০৯, তাং-০৩/০১/২০১৬খ্রি, ধারা- ৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড এর পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী মামুন মিয়া (২৮), পিতা-মুসা মিয়া, সাং-চান্দপুরকে পাঘাচং বাজারের জালাল মিয়া (সম্পর্কে আসামীর চাচা), পিতা-মৃত ধন মিয়ার চা দোকানের সামনে হতে গ্রেফতারের সময় ধস্তাধস্তিকালে আসামীর কোমরে থাকা ছুরি দ্বারা এএসআই(নিঃ) আমির হোসেনের বুকের বাম পাশে ও বুকের মাঝ খানে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় আসামী ঘটনাস্থল হতে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। সংগীয় এএসআই(নিঃ) মনি শংকর চাকমা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত এএসআই কে তাৎক্ষনিক চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত ডাক্তার এবিএম মুসা চৌধুরী তাকে ১৮.১৫ ঘটিকায় মৃত ঘোষণা করে। আসামী মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে ১। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার মামলা নং-৮৩, তাং-২৮/০৮/২০১৬খ্রি, ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড, ২। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার মামলা নং-০৮, তাং-০৩/০১/২০১৬খ্রিঃ, ধারা-১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইনের ১৯(এ)(এফ), ৩। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার মামলা নং-০৯, তাং-০৩/০১/২০১৬খ্রিঃ, ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড রয়েছে। ঘটনার সহিত জড়িত আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টাসহ মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
আপনার মন্তব্য লিখুন