১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

সাদুল্লাপুরে নলকূপ বসাতে গিয়ে মিললো গ্যাসের সন্ধান!!

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ , ৪ জুলাই ২০২০, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ফরিদপুর ইউনিয়নে মীরপুর গ্রামের আলহাজ্ব আশরাফুজ্জামান সরকারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট গোলাম মাজহারুল(এমপি) বাসায় ফ্রি আয়রন নলকূপ বসানোর সময় পাইপে গ্যাস বাষ্পায়িত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গ্যাসের সন্ধান মিলেছে।

সরেজমিনে জানা যায়- আজ দুপুর ১২.৩০ মিনিটে মাজহারুল ফ্রি আয়রন নলকূপ বসানোর উদ্দেশ্যে নলকূপ মিস্ত্রী রাঙ্গা ও তার সহকর্মীরা পাইপ দিয়ে গর্ত খুরতে শুরু করে। এরপর ২১২ ফুট পাইপ মাটির গভীরে যাওয়ার পর নিচ থেকে মিস্ত্রীর হাতে বাষ্পের চাপ লাগে এবং পানিতে বাষ্পের বুদবুদ দেখতে পায়। সবগুলো পাইপ উঠানো হলে পানিতে জোরে বুদবুদ আওয়াজ হলে বাসা মালিক মাজহারুল তার বড় ভাইকে ফোনে যোগাযোগ করেন। বড় ভাই আসার পর পাইপ যোগে পাইপের মাথায় আগুন লাগিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। তখন পাইপ সরিয়ে নিয়ে বাষ্পায়িত গর্তে বালু দিয়ে বন্ধ করে উপরে একটি সিসার পাত্র দিয়েঢেকে একটি চিকন পাইপ বসানো হয়। যাতে বাষ্পায়িত গ্যাস উপরে নির্গত হয়। পরে ফায়ারসার্ভিস ও সাদুল্লাপুর থানার পুলিশ প্রশাসন পরিদর্শন করেন। লোক মুখে সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে একনজর দেখার জন্য হাজারো লোকের সমাগম ঘটে।

এক প্রশ্নের জবাবে বাসা মালিক মাজহারুল বলেন- ফ্রি আয়রন নলকূপ বসানোর উদ্দেশ্যে পাইপ দিয়ে গর্ত করার সময় ঘটনাটি ঘটেছে। মিস্ত্রীর হাতে বাষ্পের চাপ লাগলে আমাকে ডাক দেন। এরপর পাইপ উঠানো হলে বুদবুদ আকারে বাষ্প বাষ্পায়িত হয়। আগুন লাগিয়ে বুঝতে পারি এটি গ্যাস বাষ্পায়িত হচ্ছে।

নলকূপ মিস্ত্রী রাঙ্গা বলেন- ২১২ ফুট পাইপ গভীরে যাওয়ার পর আমার হাতে বাষ্পের চাপ লাগে এবং পানিতে বুদবুদ দেখতে পাই। তখন বাসার মালিককে ডাক দিই।তারাতারি সমস্ত পাইপ উঠানো হলে বাসা মালিক ও তার বড় ভাই মিলে অন্য পাইপে যোগে আগুন লাগিয়ে পরীক্ষা করেন। তখন বুঝতে পারি নিচ থেকে গ্যাস বাষ্পায়িত হচ্ছে। এবিষয়ে দর্শানার্থী আলামিন বলেন- দুপুরে গ্যাস বাষ্পায়িত হওয়ার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখি ঘটনা সত্য। বুদবুদ করে গ্যাস বাষ্পায়িত হচ্ছে। এখানে মাটির নিচে গ্যাস থাকতে পারে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কর্তৃপক্ষের প্রতি জোড় দাবি জানিয়েছে হাজারো দর্শানার্থী।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

July 2020
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
আরও পড়ুন