কসবাস্থ জেঠুয়ামুড়া গ্রামের চোরাকারবারির জালাল মিয়ার খুঁটির জোর কোথায়!! প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন কি?
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ , ২৯ জুন ২০২০, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
মোবারক হোসেন চৌধুরী নাছিরঃ কসবার অদূরে সীমান্তবর্তী এলাকা জেঠুয়ামুড়া গ্রামের বাসিন্দা জালাল মিয়া। কখনো কখনো সে মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে দাবি করে যা মামলার আরজিতে উল্লেখ আছে। বহু বছর যাবতজালাল মিয়া ও তার চোরাকারবারি বাহিনী নিয়া এলাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় মাদকদ্রব্য ফেন্সি, মদ, গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে জালালের বিরুদ্ধে কসবা থানা সহ বিভিন্ন জেলায় বহু মামলা চলমান রয়েছে। যাহা কসবা থানা এফ.আই.আর নং-২১, তারিখ-১৫ এপ্রিল,
২০১৮ইং, ধারা-৪৪৭/ ৪৪৮/১৪৩/ ৪২৭/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৫/ ৩০৭/ ৩৭৯/ ৩৮০/
৩৫৪/ ৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০, চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার এফ.আই.আর নং-
০৬, তারিখ-২৬ অক্টোবর, ২০১৩ইং, ধারা-১৯ (১) এর ৭ (ক), ১৯৯০ সালের
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন। সি.এম.পি এর চট্ট্রগ্রাম পাহাড়তুলি
থানার এফ.আই.আর নং-০১, তারিখ-০১ আগষ্ট, ২০১৩ইং, ধারা-১৯ (১) এর
৭ (ক), ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর কসবা
থানার জি.আর নং-৫০/১১, তারিখ-০৪ ফেব্রæয়ারি, ২০১১ইং, ধারা-৩৬৪
ক/৩৪, পেনাল কোড-১৮৬০, কুমিল্লা এর কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানারএফ.আই.আর নং-০৫, তারিখ-০৪ নভেম্বর, ২০০৬ইং, ধারা-২৫-বি ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কসবা থানার এফ. আই.আর নং-৬০, জি.আর নং-৫৯৩, তারিখ-২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ইং, ধারা-৪ দি কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট ১৯৫২, কসবা থানার মামলা নং-২১, তারিখ-০৮ জুন, ২০২০ইং, ধারা-১৪৩/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৫/ ৩২৬ /৩০৭/ ৩৫৪/ ৩৭৯/ ৫০৬ পেনাল কোড।
জালাল বহু মামলার আসামী থাকিয়াও প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে তার বাহিনী লইয়া এলাকায় রাজত্ব কায়েম করিয়া আসিতেছে।
জানা যায় মধুপুর গ্রামের মোঃ ফিরুজ মিয়ার বাড়ির সীম সীমানা নিয়া মোঃ জজু মিয়ার সহিত মনোমালিন্যতা চলিয়া আসিতে থাকাবস্থায় এলাকার চেয়ারম্যান বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেওয়া সত্তে¡ও মোঃ জজু মিয়া ঐ নিষ্পত্তির আদেশকে অমান্য করিয়া মোঃ জজু মিয়া গডফাদার জালাল সহ তার বাহিনীকে আনিয়া মোঃ ফিরুজ মিয়াকে ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ ফেন্সি, মদ, গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট ইত্যাদি মাদক দ্রব্য দিয়া মোঃ জজু মিয়া, মোঃ ফিরুজ মিয়াকে চালান করবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে। এ দিকে মোঃ ফিরুজ মিয়া নিরুপায় হইয়া মোঃ জজু মিয়া গংদের বিরুদ্ধে কসবা থানায় জি.ডি এন্ট্রি দায়ের করে। পুলিশ তাৎক্ষনিক ০৬/০৬/২০২০ইং তারিখ
ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে চলিয়া আসলে ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে জালাল ও তার বাহিনী একযোগ জনতা দলবদ্ধ হইয়া দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, কতেক রাম দা, লোহার রড, হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, এক কাটিয়া, পাঁচ কাটিয়া, কাতরা, লোহার পাইপ, ছেনা ও দা ইত্যাদি লইয়া মধুপুর মোড়
মহরা দিয়া বলাবলি ও ডাকাডাকি করিতে থাকিলে মোঃ বাহার উদ্দিন পিতা: মোঃ গেন্দু মিয়া প্রতিবাদ করা মাত্র। মধুপুর গ্রামের মোঃ জামাল মিয়ার হুকুমে জালাল ও তার বাহিনী মোঃ বাহার উদ্দিন সহ পাঁচজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে সমস্ত শরীরে কুপাইয়া, বাইরাইয়া, বাহার উদ্দিনের ছয়টি দাঁত সহ দাঁতের মাড়ি কুপাইয়া মারাত্মক জখম করে। জালাল ও তার বাহিনী সন্ত্রাসী তান্ডব চালাইয়া এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করিয়া মোঃ বাহার উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে জালাল গংরা পরপর দুইটি মামলা করে বাহার উদ্দিন গংদের হয়রানী করিয়া আসিতেছে। এ দিকে বাহারউদ্দিন মৃত্যুর যন্ত্রণায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। জালাল ও তার বাহিনী গংরা এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চোরাকারবারির গডফাদার ও তার বাহিনীর খুঁটির জোর কোথায় ? বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখবেন সচেতন মহলের এটাই প্রত্যাশা।
(চলবে)
আপনার মন্তব্য লিখুন