১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওএমএস”এর তালিকায় ধনপতিরা!!

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ , ২৭ জুন ২০২০, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

এইম এম সিরাজঃ অর্থ-বিত্তে ধনপতি। অথচ তাদের নাম বিশেষ ওএমএস’র তালিকায়! পাঁচতলা বাড়িঅলা, মার্কেটের মালিক, ধনাঢ্য ব্যবসাদার, একাধিক প্রবাসী সন্তানের জনক-জননী, মার্কেট মালিক-কাউন্সিলর প্রার্থীও বাদ যায়নি ওই তালিকা থেকে। ইতোমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরিবের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা এমন ৩৩৭ জনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে ওএমএস’র তালিকা থেকে। জেলা খাদ্য বিভাগ এবং পৌরসভা যাচাই-বাছাই করে তাদের বাদ দেয়। অপরদিকে তালিকা তৈরিতে অনিয়ম করায় এরই মাঝে বরখাস্ত হন দুই কাউন্সিলর এবং একজন ডিলার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য বিভাগ যাচাই করে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোকর্ণঘাট এলাকার তালিকায় পান অনেক ধনাঢ্যর নাম। নাজির মিয়ার দুই ছেলে বিদেশে। প্রায় দু’কোটি টাকার মালিক তিনি। স্থানীয় বাজারে মার্কেট আছে এরফানুল বারীর। আছে দো’তলা বাড়ি। আবদুল হেকিমও মার্কেটের মালিক। বাজারে মার্কেট আছে রোকসানা বেগমের। তিনি আবার কাউন্সিলর প্রার্থী।ধন মিয়ার চার ছেলে থাকেন বিদেশে। তার আছে পাকা বাড়িও। গোকর্ণঘাট বাজারের সবচে’ বড় মার্কেটের মালিক সামছুল হক। দুই ভাই বিদেশে থাকেন রবীন্দ্র বর্মণের। তিনশ’ শতাংশ জমিরও মালিক তিনি। হোসেন মিয়ার আছে দো’তলা বাড়ি, তাতে আবার এসি লাগানো। বাজারে দোকানও আছে তার। দুই-দু’টি মাইক্রোবাসের মালিক শফিক মিয়া। কবির মৃধা একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। বিত্তশালী এসব মানুষদের সবারই নাম দেয়া হয় করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের দেয়া বিশেষ ওএমএস সুবিধাভোগীর তালিকায়! ভিক্ষুক, ভবঘুরে, সাধারণ শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালক, চা’ দোকানী, পরিবহন শ্রমিক হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকজনের বদলে দেয়া হয় তাদের নাম। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফেরদৌস মিয়ার নেতৃত্বাধীন এ সংক্রান্ত কমিটি তালিকাটি তৈরি করেন। গণমাধ্যমে অন্য আরেকটি ওয়ার্ডের অনিয়মের চিত্র প্রকাশ পাবার পর টনক নড়ে প্রশাসনের, তদন্তে নামে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ। শুরু হয় পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের তালিকা যাচাই-বাছাই। প্রথম দফায় প্রত্যেক ওয়ার্ডে করা ৫০০ জনের নামের তালিকার খোঁজখবর করতে গিয়েই সন্ধান মিলে এসব ধনপতিদের।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন