বরগুনায় চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন–

জানা গেছে, সদর উপজেলার ৫ নম্বর আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের চেয়্যারমান আশশাকুর রহমান ফিরোজ সরকারি এলজিএসপির টাকা দিয়ে নিজ বাড়ীর সিমানা প্রাচীর ও জাংগালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মান করেন। এবং সরকারী টাকায় চেয়ারম্যান বাড়ীর ঘাটলা নির্মান করেন। যা বিধি বহির্ভূত।

এমনকি, সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস থেকে শতকরা ২% হারে লক্ষ লক্ষ টাকা ইউনিয়ন পরিষদ পায়৷ কোন ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে সেই টাকা চেয়ারম্যান ফিরোজ একা আত্মসাৎ করেন।

এছাড়াও, এবিডির টাকা চেয়্যারম্যান একাই ব্যায় করেন, কিন্তু কোথায়, কিভাবে ব্যায় করেন বা কোথায় কি করেন তা ইউপি সদস্যরা জানেনা। এছাড়াও আরোও অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে চেয়্যারম্যান ফিরোজের বিরুদ্ধে।

এছাড়াও, অত্র ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার হাসি আক্তারের স্বামীকে কাবিখার টাকায় একটি ঘর দেয় চেয়্যারম্যান ফিরোজ। যার মূল্য ২,৮০,০০০/- টাকা। যা বিধি বহির্ভুত। অত্র ইউনিয়নের মৎসজীবি জেলে ৪০৫ জন। দীর্ঘ ৫ বছরে ঠিকমত জেলেদের চাল না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান ফিরোজের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যানের আত্মীয়দের নামে জেলে কার্ড দিয়েছে, অথচ তাহারা আদৌ জেলে নয়। অবৈধ
সুবিধা নিয়া জেলে নয় তাহাদের জেলে তৈরী করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইউপি সদস্যরা জানান, চেয়ারম্যান আশশাকুর রহমান ফিরোজ নিয়মিত পরিষদে না এসে মাসে ২/১ দিন বিকেলে এসে আবার চলে যায়।
তিনি আমতলী সরকারি কলেজে লেকচারার পদে কর্মরত আছেন।

ইউপি সদস্যরা আরোও জানান, চেয়ারম্যান ফিরোজের অন্যায় ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর ভয় দেখায়।

চেয়ারম্যান ফিরােজের দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার যতদিনে নির্মূল না হবে ততদিন পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে না যাওয়ার ঘোষনা দেন ইউপি সদস্যরা।