মাত্র কয়েক সেকেন্ডের টর্ণেডোয় কয়েক গ্রাম লণ্ডভণ্ড
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৫:১৯ অপরাহ্ণ , ৬ জুন ২০২০, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
মাত্র কয়েক সেকেণ্ড সময়। টর্ণেডোর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই উপজেলার কয়েকটি গ্রাম। ক্ষতি হয়েছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি,আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। অনেক পরিবার হয়ে পড়েছে গৃহহীন।
শনিবার (৬ জুন) সকাল সোয়া আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল এবং নাসিরনগর উপজেলা এলাকায় আঘাত হানে প্রলয়ঙ্করী এই টর্ণেডো। এতে আহত হওয়া অন্তত ১০ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে আচমকা জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কুচনিবুড্ডা এবং নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া, বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর ও আশুরাইল গ্রামের ওপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে যায়। নাসিরনগরের সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কামারপাড়া, রিষিপাড়া, সোনাতলাপাড়া এবং বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল, শ্রীঘর গ্রামে টর্ণেডোয় ব্যাপক ক্ষতি হয়। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই টর্ণেডোর দাপটে গ্রামগুলোর অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উড়ে গেছে অনেক ঘরের চালা, নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বেড়া। অনেকের ঘরের চালা ঝূলে আছে উঁচু নারকেল গাছের মাথায়।
টর্ণেডোর তাণ্ডবে সড়কের গাছপালা, নদীতে থাকা বেশ কয়েকটি নৌকাও ভেঙে হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত। এদিকে টর্ণেডোর আঘাতে আহত হয়ে নাসিরনগর উপজেলার আশুরাইল গ্রামের মহরম মিয়া (৮০), সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার মাজেদা খাতুন (১৭), নাজমুন ইসলাম (৯)সহ আরো কয়েকজন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো পরিদর্শনে গেছেন।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মো. মুসা জানান, ‘সকালে টর্ণেডোর আঘাতে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কুচনিবুড্ডা গ্রামের অন্তত ১৬টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা আশরাফি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলো ঘুরে দেখাককালে সদরের ৫০ টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ দেখা গেছে। সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এইচ.এম. সিরাজ,
সাংবাদিক-কলাম লেখক
ব্রাহ্মনবাড়িয়া
আপনার মন্তব্য লিখুন