স্বাধীনতার ৪৯ বছরে পদার্পণ করল দেশ!
মেহেদী হাসান মুকুট প্রকাশিত: ২:৪৩ পূর্বাহ্ণ , ২৬ মার্চ ২০২০, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। পুরো জাতি আজকের দিনকে শ্রদ্ধাশীল হয়ে স্মরণ করবে। স্মৃতির চাদরে কেউবা গা ভাসাবেন তার ফেলে আসা অতল অতীতের রক্তদানের স্মৃতিচারণে।
প্রায় ২৩ বছরের শোষণ থেকে বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, চলেছিল নির্মম গণহত্যা যার সাক্ষী গোটা বিশ্ব।
১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে উলটো বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের উদয়মান সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।
এই আক্রমণ বাংলাদেশের প্রতিরোধ যুদ্ধের পথ তৈরি করে দেয়; পাকিস্তানের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করে দেন, বাংলাদেশ এখন স্বাধীন। এই দেশের প্রতিটা বাঙ্গালী আজ থেকে প্রান খুলে বাচঁবে। ৭ কোটি বাঙ্গালীকে আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবেনা।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণা হিসেবে ধরে নিয়ে ১৯৮০ সালে ২৬ মার্চকে স্বাধীনতা দিবস বা জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১:৩০ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডির ৩২ নং বাসা হতে গ্রেফতার করা হলেও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই শুরু হয় মুক্তির সংগ্রাম।
মুজিবনগর সরকারের পরিচালনায় নয় মাসের সশস্ত্র সেই সংগ্রামে আসে বিজয়, ঝড়ে যায় ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণ।বিজয়ের শেষ হাসিঁ হেসে বাঙ্গালি পায় লাল সবুজের পতাকা। নব অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের।
১৯৭২ সালের ১০এ জানুয়ারী দেশমাতা বরণ করে তার সুযোগ্য পূত্রকে, দিশেহারা বাঙালী ফিরে পায় তার আটকে থাকা নিশ্বাস, খুজেঁ মিলে বেচেঁ থাকার স্বাদ।
ছবিঃ ফ্লিকর, লেখকঃ মেহেদী হাসান মুকুট
আপনার মন্তব্য লিখুন