ডাক্তার নেই,প্রাইভেট হাসপাতাল কি দায় এড়াতে পাড়ে?
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ , ২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
এইচ এম সিরাজ;- এক সময়ের একশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালই ছিলো জেলাবাসীর চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল। সময়-মানুষের চাহিদার প্রেক্ষিতেই জেলা সদর হাসপাতালটি উন্নীত হয় অাড়াইশ’ শয্যায়।এর সাথে পাল্লা দিয়েই যেনো জেলা সদরে গড়ে ওঠতে থাকে বে-সরকারি তথা প্রাইভেট হাসপাতাল। প্রায়শই উন্নত চিকিৎসার নামে জেলা সদর হাসপাতালকে পাশ কাটিয়ে রোগিদেরকে বাগিয়ে নেয়া কিংবা মানুষও বেশ অাগ্রহেই অনেকটা প্রতিযোগিতা করেই ছুটে প্রাইভেট হাসপাতালে। যেনো প্রাইভেট হাসপাতালের সক্ষমতা সরকারি হাসপাতালের চাইতেও ঢের ভালো। অাজকে যখন গোটা জাতিরই চলছে চরমতম ক্রান্তিকাল, তখন অধিক সক্ষমতার দাবীদার প্রাইভেট হাসপাতাল হাত গুটিয়ে রাখছেন কেন?
অর্থনৈতিকভাবে অসক্ষম পরিবারের মানুষদেরকেও অনেকটা বাধ্য করেই ‘হাতির খোরাক’ যোগাড়ের ন্যায় প্রাইভেট হাসপাতালের ঢাউশ সাইজের বিল মিটাতে গিয়ে ঘটিবাটি বিকোনোর কথা অামরা সক্কলেই জানি। অনেকটা মানুষের পকেট কেটে নিংড়ে অর্থকড়ি নিতে যারা বিন্দু-বিসর্গও কসুর করেনি, অাজকে তারা সকল দায় থেকে নিজেদেরকে এক্কেবারেই গুটিয়ে রাখবে এটা কি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়?
জেলা সদর হাসপাতালে ওটি (অপারেশন থিয়েটার) চলতো-চলে একটা নির্দিষ্ট সময়ে। অপরদিকে প্রাইভেট হাসপাতালে চব্বিশঘণ্টার যখন-তখন। এর পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন সেবা, চিকিৎসকের উদার মানবিতা প্রদর্শনে রোগি-অভিভাবকদের মনে প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি সর্বজনবিদিত। এতো বিস্তর দায় পালনকারী প্রাইভেট হাসপাতাল করোনা ভাইরাসের থাবায় গোটা জাতিরই কম্পমান দশায় দায় এড়াতে পারে কীভাবে?
#
আপনার মন্তব্য লিখুন