১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

EN

স্বাস্থ্য সহকারী পুরুষ শিকারী রানুর চিচিং ফাঁস

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৩:০২ পূর্বাহ্ণ , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

 

(গল্প নয় সত্যি) রানুর প্রেমেপড়ে অধশত যুবক সর্বশান্ত হওয়ার চানঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে, সেই বহুল আলোচিত বহুগামী পুরুষ শিকারী রানুর থলের কালো বিড়াল বেড়িয়ে আসছে। রানুর প্রেম সমাচারের প্রথম পূর্বে তার গ্রামের বাড়িও বর্তমান কর্মস্থল পরিদর্শনে গেলে জানাযায় তার জীবনের নানা কাহিনী। রানু ইদানিং রংপুর শহরে তিনটি বিয়ে করেছে। তবে এই তিন স্বামীই হবু স্বামী। কাউকেই কাগজে কলমে বিয়ে করেনি রানু। তবে সত্যি সত্যি বিয়ে না করলেও হরদম কাঁচা গোল্লা খাওয়ায় তাতে এক বিন্দুও সন্দেহ নেই। রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার গংগাচড়া মধ্যপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র মৃত ছদরুল পাশার স্ত্রী বহুল আলোচিত বহুগামী পুরুষ শিকারী রানু পুলিশের হয়রানি আর ফ্ল্যাট বাড়িতে স্থানীয় হোমরা চোমরা ও মাস্তানদের উৎপাত থেকে নিস্তার পেতে বাধ্য হয়েই হবু স্বামী বানিয়ে অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। সে বর্তমানে হোম সার্ভিসেই বেশি সময় অতিবাহিত করে। খদ্দরদের কল পেলে বাসায় যাই। স্বাস্থ্য সেবিকা সুন্দরী রানু রংপুরের এক আবাসিক হোটেলে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। কিন্তু সেখানে কমিশন দিয়েও রেহাই ছিল না, তাকে অন্যান্য চাহিদায় সাড়া দিতে হতো। এ অবস্থায় বাধ্য হয়েই তাকে বেছে নিতে হয়েছে হোম সার্ভিস। এভাবে রানু হোটেল আর রাজপথ পেরিয়ে যুক্ত হয়েছে হোম সার্ভিসে। তার এ পেশার নেপথ্যে রয়েছে তার ভাসির্টি পড়ুয়া মেয়ে সাদিয়া ইসলাম মিম এর প্রাইভেট টিচার সাবু। রানুর মেয়ের প্রাইভেট টিচারই নির্দিষ্ট কমিশনের ভিত্তিতে খদ্দের যোগাড় করে দেয় তাকে।
জানা যায়, তাহেরা আখতার বানু ওরফে রানু (৪৮) বেশ কয়েক বছর যাবৎ রংপুরের গংগাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সিনিয়র স্বাস্থ্যসহকারী হিসেবে কাজ করে আসছেন। এর সুবাদে তার পরিচয় হয় অভিজাত পরিবারের যুবকদের সাথে। এক পর্যায়ে প্রায় অর্ধশত যুবকের সাথে গড়ে উঠে তার প্রেমের সমপর্ক। প্রেমের অভিনয় করে প্রেমিক যুবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা।
রানুর গ্রামবাসী সুত্রে জানাগেছে, গত কয়েক দিন আগে টাঙ্গাইলের এক যুবককে বিবাহ করে তার রংপুর মেডিকেল পূর্বগেট তার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে এবং সে যুবককে তার বাড়ীতে ৫/৬ দিন রেখে আবার তাড়িয়ে দেয় রানু। দুঃখের বিষয় সে যুবককের সাথে সংসার জীবনে আসার চেষ্টা করেনি রানু শুধু করেছে ছলনা। ঐ যুবকের কাছ থেকে কৌশলে ১ ভরি স্বনের্র কানের দুল কিনে নেয় এবং নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় রানু। প্রতারনা আর ব্ল্যাকমেইল করে একাধিক পুরুষের কাছ থেকে কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। তার কাজই টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেওয়া আর বিয়ে নামের মিথ্যা ছলনা করে কিছু দিন পরই আউট করা এটাই তার মুল পেশা। রানুর প্রতারণার স্বীকার হয়ে রংপুর, টাঙ্গাইল, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলার অনেক ছেলে সর্বস্ব হারিয়ে এখন নিঃস্ব। রুপের ঝলকানিতে যুবকদের সাথে প্রেমের সমপর্ক গড়ে তোলে সর্বস্ব লুটিয়ে নিয়ে নতুন প্রেমিক খুঁজতে থাকে সে। এভাবে তার প্রেমের বলি হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী, পেশার মানুষ। আশ্চর্য হলেও সত্য যে, রানুর প্রেম খেলায় এলাকার যুব সমাজ থেকে শুরু করে শহরের স্বাম্বলভী যুবকরা রীতিমত হয়রানির শিকার। রানুর প্রেমের সুধাময় উচ্চারণ কত ছেলের সাথে হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও অন্ততঃ প্রায় অর্ধশত যুবক রানুর খপ্পরে পড়ে প্রেম কেয়া চিজ হায় উপলব্ধি করতে পেরেছেন। রানুর একদেহ এক মন কত ছেলে উপভোগ করেছে তারও হিসেব জানা না গেলেও কাঁচা টাকার বিনিময়ে যে কাউকে দেহ বিলিয়ে দিতে আপত্তি করে না। চিকন চাকন ফিগার, হাইফাই ড্রেস, চলনে বসনে স্মার্ট সব মিলিয়ে উঁচুতলার কলগার্ল। সুন্দরী নায়িকা ঢংয়ের রানু টাকাওয়ালা ছেলেদের সাথে প্রথমে প্রেমের সমপর্ক গড়ে তোলে। অভিজাত রেষ্টুরেন্টে দহরম-মহরম। অতঃপর কাঁচা মাংসের লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় ছেলের পকেটের অর্থ। প্রেমিকা হিসেবে বায়না ধরে নানা দামি জিনিসের। টুপিছ-থ্রিপিছ, স্বর্ণের চেইন, মোবাইল। রানুর বায়না পূরণ করে অনেকেই পেয়েছেন কোমল দেহ। অতঃপর আউট। পূর্ববর্তী প্রেমিকরা কোন প্রকার উচ্চ-বাচ্চ্য করলে প্রভাবশালী ক্যাডারের ভয় দেখায় রানু। ফলে প্রেমিকগণ মান-ইজ্জতের ভয়ে আর এগুনোর চেষ্টা করে না। রানু এভাবে নির্বিঘেই খেলছে প্রেম প্রেম খেলা। প্রতারক রানুর এই সকল অবৈধ কর্মকান্ডে সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে তার মেয়ে মিম এর প্রাইভেট টিচার সাবু। পুরুষ শিকারে কোথাও ঝামেলায় ফেঁসে গেলে প্রেমিকের পায়ে হাতে ধরে, কখনো তাবজাতি করে, কাউকে টাকা-পয়সা ফেরত দিয়ে তাকে উদ্ধার করছে তিনি। আর এভাবে রানুর প্রেমের সহযোগী হয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রেম প্রেম খেলা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রানুর কর্মস্থলের জনৈক এক সহকর্মী জানান, আমার বান্ধবী খুবই ভাল। তবে সে খুব হাই সোসাইটি ছাড়া কাউকে সঙ্গ দিতে চায় না। বর্তমানে মেডিকেল পূর্বগেট ধাপ কাকলীলেন জনৈক মুক্তার আল-আজাদ এর ভাড়া বাসার নিচ তলায় বসবাস করে সে তার এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় সে হিলি সীমান্ত থেকে ইয়াবা এনে রংপুর শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে খদ্দরদের কাছে বিক্রি করছে। রানুর সাথে কাজ করা একাধিক বান্ধবি বলেন, সে দেখতে কিছুটা সুন্দরী হওয়ায় যে কোন ছেলে তার প্রেমে পড়ে যায় অতি সহজে আর সুযোগ মতো টাকা কড়ি হাতিয়ে সটকে পড়া এটা তার একটি নেশা। ইদানিং রানুর নাম গোপন করে মায়া নামে সে চলাফেরা করছে। প্রেমের অভিনয় করে চাকুরী নামধারী বহুরূপি এ প্রতারক মেয়েটির লক্ষ্য অর্থ কামাই। গ্রাম্যসরলা সুন্দরী এই যুবতীর নরম তুলতুল দেহের লোভ দেখিয়ে কতজনের যে পকেট শুন্য করেছে সেই কাহিনী জানতে অপেক্ষা করুন পরবর্তী কিস্তির জন্য। (চলমান)

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

February 2020
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
242526272829  
আরও পড়ুন