মা ও সন্তান
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১১:২৯ অপরাহ্ণ , ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
ছবিটিতে মা এর শরীরের যে অংশের দিকে আপনাদের চোখ সবার প্রথমে গেছে সেটাকে শুদ্ধ বাংলা ভাষায় স্তন বলে, যা অনেকের কাছে মাংসের দলা হতে পারে, অনেকের কাছে নারীকে ধর্ষণ করার একটা কারণ হতে পারে, অনেকের কাছে তা হলো নারীকে মাল বলার কারন! আবার অনেকের কাছে, ভীড় বাসে/ট্রেনে একটু আলতো করে স্পর্শ করে মজা নেয়ার জন্য একটা নরম বল হতে পারে
কিন্তু মায়ের কোলে শুয়ে থাকা শিশুটির কাছে এগুলোর কিছুই না””তার কাছে স্তন গুলো বেঁচে থাকার সম্বল”””!!!”
ছোট্ট চারা গাছ যেমন মাটি থেকে তথা ধরিত্রী থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করে বেড়ে ওঠে তেমনিভাবে এই শিশুটির কাছেও তাই
“তখন তার কাছে ‘মা’ হল ধরিত্রী, যিনি তার সন্তানের জন্মের পর থেকে তাঁর চারাগাছ তথা তার সন্তানকে খাদ্য সরবরাহ করে বড় করে তোলে
“আপনি-আমি, আমার সবাই আমাদের মায়ের স্তন পান করেই বেঁচে থেকেছি, ছোট থেকে বড় হয়েছি”””!!!”
কিন্তু সেই পুত্র শিশুই বড় হয়ে কোনো না কোনো নারীর বক্ষ দেখে তাকে ধর্ষন করার ইচ্ছা পোষন করে, তাকে উদ্দেশ্য করে নোংরা ইঙ্গিত করে, বাজে কথা বলে কিংবা নিজেদের শরীরে যৌন সুড়সুড়ি অনুভব করে, ভুলে যায় তার অতীতের কথা
যেদিন পুরুষ নিজেকে পুরুষ না ভেবে মানুষ ভাবতে শুরু করবে, সেটাই হবে পুরুষ জাতির জন্য অনেক বই ওই অঙ্গের নাম স্তন, যা না থাকলে পৃথিবীর মানব সভ্যতা ৫০ হাজার বছর পার করতে পারত না
গুহাবাসী আদিম শিশু গুহাতেই মারা যেত, পাথরে পাথর ঠোকার প্রস্তর যুগই শুরু হতো না
তাদের দেখেও অাপনার মত অন্য পুরুষের মনে নোংরামী করার ইচ্ছা জাগ্রত হতে পারে
অতএব, পরিবর্তন শুরু হোক নিজের থেকেই নিজে বদলে যান, নোংরা মানসিকতা ত্যাগ করুন, দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন করুন; দেখবেন দুনিয়াটাই বদলে গেছে।
সাংবাদিক আলিম
আপনার মন্তব্য লিখুন