রোহিঙ্গারা দিন দিন বেপরোয়া ও হিংস্র হয়ে উঠছে
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:১০ অপরাহ্ণ , ২২ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগেকক্সবাজার, ২২ মার্চ- উখিয়া-টেকনাফ শিবিরের রোহিঙ্গারা দিন দিন বেপরোয়া ও হিংস্র হয়ে উঠছে। মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে তাদের অপরাধ। রোহিঙ্গাদের মারমুখী আক্রমণ থেকে রেহাই মিলছে না কারোরই। শুধু নিজ গোত্রের গণ্ডিতে এখন আর সীমাবদ্ধ নেই তাদের অপরাধ কার্যক্রম। ইতিমধ্যে তাদের রোষানলে পড়ে একাধিকবার লাঞ্ছিত হয়েছেন দেশি-বিদেশি সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, বিদেশি পরিদর্শক দলের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সব থেকে চরম বেকায়দায় পড়েছেন স্থানীয়রা। সর্বশেষ শনিবার গভীর রাতে রোহিঙ্গাদের হামলার শিকার হয়েছেন কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জসহ পুলিশের একটি দল। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৭-৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে রোহিঙ্গাদের ছত্রভঙ্গ করে।
পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে আটক করে। গত দেড় বছরে আশ্রয় শিবিরগুলোয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২৫টির মতো খুনের ঘটনা ঘটেছে। হত্যা, ধর্ষণ, মাদক পাচার, ডাকাতিসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা রোহিঙ্গারা করছে না। ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, রোহিঙ্গারা নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করছে। জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। তাদের মারমুখী আচরণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে নিরাপত্তা শঙ্কা ও উদ্বেগ বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের অপরাধপ্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হচ্ছে খুনের মতো নৃশংস ঘটনা। সামান্য বিষয়ে হিংস্র হয়ে ওঠে রোহিঙ্গারা।
এদিকে উখিয়ার বালুখালী ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বলেন, রোহিঙ্গারা দিন দিন হিংস্র হয়ে উঠছে। প্রতি মুহূর্তে তাদের রূপ বদলে যাচ্ছে। শরণার্থী শিবিরসংলগ্ন এলাকাগুলোয় স্থানীয়রা গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করতে পারছে না। কোনো শাক-সবজি চাষ করতে পারছে না। চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে তারা। ক্যাম্পে এত লোক, কাকে সন্দেহ করা যায়? স্থানীয়রা এসব কারণে কোনো ক্ষতির প্রতিবাদ করতে গেলেই রোহিঙ্গারা সংঘবদ্ধ হয়ে তেড়ে আসে। স্থানীয় ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় যেসব দেশি-বিদেশি এনজিও কাজ করছে তাদের ওপর আরও বেশি নজর রাখা উচিত। রোহিঙ্গাদের ভয়ঙ্কর কার্যকলাপে স্থানীয় লোকজন সবসময় ভয়ে ও আতঙ্কে থাকে। ফলে রোহিঙ্গারা কে কোথায় যাচ্ছে তাদের তদারকি করা দরকার।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, গত দেড় বছরে রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও স্থানীয়দের সঙ্গে ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় ৩ শতাধিক মামলা হয়েছে। এ সময়ের
আপনার মন্তব্য লিখুন