লেবাননে বইছে বাংলাদেশের নির্বাচনী হাওয়া!
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:২১ অপরাহ্ণ , ১১ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
- নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম সব দলের নেতাকর্মী
- চার দেয়ালের মাঝেই চলছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড
জহির রায়হান, লেবানন থেকে : সংবিধানের বিধান অনুয়ায়ী আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারির মধ্যেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লেবাননে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে বইছে নির্বাচনী হাওয়া।
এদেশে প্রায় দেড় লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকের বসবাস। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে প্রতি শনি ও রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রয়েছে বাংলাদেশের কোনো না কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম। আর এ দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিরোধী দল বিএনপি। আর তৃতীয় স্থানে জামায়াতে ইসলামী থাকলেও কোন কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। জাতীয় পার্টির কোন অস্তিত্ব নেই লেবাননে, নেই কোন প্রচার প্রচারণা।
লেবাননের রাজনীতির মাঠ হিসেবে রাজধানী বৈরুতকেই ধরা হয়। যদিও চারটা মেঘা সিটি নিয়ে গঠিত এই লেবানন। রাজধানী বৈরুতেই রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় কমিটি। এসব কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে পদ-পদবী আর প্রতিহিংসার কারণে বিশৃঙ্খলা লেগে থাকে হরহামেশাই। ভাঙনের ঝড় বইতে থাকে সর্বদা, একপর্যায়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হয়ে যায় গ্রুপিং।
বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই বড় দু’টি দলের মধ্যেও রয়েছে গ্রুপিং। বিএনপির দলে গ্রুপিং থাকলেও তারা প্রকাশ্যে আসছেনা। কিন্তু আওয়ামী লীগের গ্রুপিং চলছে প্রকাশ্যে। তবে যার যার মতো করে করছে সভা-সেমিনার, চালাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন নেতিবাচক দিক প্রবাসীদের সামনে তুলে ধরছেন বিএনপি নেতারা। অপরদিকে পিছিয়ে নেই আওয়ামী লীগ নেতারাও। বর্তমান বিরোধী দল বিএনপি বিগত দিনে ক্ষমতায় থাকাকালে কী কী কর্মকাণ্ড করেছে তা কর্মীদের সামনে তুলে ধরছেন। তবে বিএনপি নেতাদের তেমন একটা প্রোগ্রাম করতে দেখা যায় না।
এক কথায় প্রবাসে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সব দলের নেতাকর্মীরা নড়েচড়ে বসেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতি এখন প্রবাসের মাটিতে চলছে প্রতিযোগিতামূলকভাবে। দিনে ১০/১২ ঘন্টা কাজ করছেন, রাতে আবার নেতাকর্মীদের সাথে গিয়ে চায়ের কাপে চলছে নির্বাচন নিয়ে আলাপন। আবার কেউ হোটেল বুকিং দিয়ে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করছেন। প্রবাসে থাকা দলভিত্তিক নারী-পুরুষ ও ফ্যামিলিগুলো যোগদান করছে সেই সব অনুষ্ঠানে। লেবানন সরকারের অনুমতি না থাকায় রাস্তায় কেউ নামতে পারছে না। তাই চার দেয়ালের মাঝেই চলছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড।
আপনার মন্তব্য লিখুন