বাংলাদেশ দূতাবাস বৈরুতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৯:৪৪ অপরাহ্ণ , ১৬ আগস্ট ২০১৮, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 7 years আগে
জহির রায়হান, বৈরুত, লেবানন থেকে : লেবাননে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৫ আগস্ট বুধবার বাংলাদেশ দূতাবাস আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় প্রথম পর্বে লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসীদের উপস্থিতিতে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সন্ধ্যার আলোচনা সভায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করেন।

জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করছেন রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার।
পরে দ্বিতীয় পর্বে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় দূতাবাসের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত। তারপর আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগ, ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।
পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
সভায় শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বাণীগুলো পাঠ করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান সায়েম আহমেদ, দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবুল হোসেন, দূতাবাসের সহকারী কন্স্যুলার কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা এবং দূতাবাসের কল্যান সহকারী আরমান প্রধান।
দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান সায়েম আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার।আলোচনার শুরতেই বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এরপর আওয়ামী লীগ এবং কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ১৫ আগস্টের কালো রাতের ঘটনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী উপস্থিতির একাংশ।
রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার বলেন, আমরা অত্যান্ত ভাগ্যবান যে বঙ্গবন্ধুর মত একজন নেতা পেয়েছিলাম। অত্যান্ত কুশলী, সাহসী এবং নির্ভীক নেতা ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই আমরা মহান স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। তিনি ছিলেন বাংলার একজন অবিসংবাদিত নেতা।
এরপর ১০টি মেঘা প্রকল্পসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে বাস করছি। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবো। এজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণ করুন এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখুন।
জাতীয় শোক দিবসের এই আয়োজনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধি এবং প্রবাসী বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশিসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শেষে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
আপনার মন্তব্য লিখুন