খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পরামর্শ, আইনমন্ত্রীর
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ণ , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 months আগে
এনই আকন্ঞ্জি, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনার বধান্যতায় বেগম খালেদা জিয়া কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েও মুক্ত থেকে সুচিকিৎসা নিতে পারছেন। তবে বিদেশের চিকিৎসার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন তাদের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে কোন আবেদন করা হয়নি। আবেদন করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে মতামত চাইতে পারে। পরে বিষয়টি দেখা যাবে এখন কিছু বলা যাবে না।
তিনি আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশনে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এছাড়াও বিএনপির পক্ষ থেকে হরতাল অবরোধের যে হুমকি দেয়া হচ্ছে সে
বিষয়ে তিনি বলেন, তারা আইন ভঙ্গ করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
এদিকে দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল হাই স্কুলের একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানে তিনি বলেছিলেন দুইটি জিনিস মৌলিক অধিকার হিসেবে রাষ্ট্র গ্যারান্টি দেয়। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। জিয়াউর রহমান ও জি এম কাদেরের ভাই এরশাদ এই দুইটা নষ্ট করেছিলেন এবং সর্বনাশ করেছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। মানুষের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। আমরা প্রমাণ করেছি ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারে, অগ্নি সন্ত্রাস করেও ভোট দেওয়া বন্ধ করা যায় না।
এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, জি এম কাদের সাহেবের ভাই জনাব এরশাদ সাহেব ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ মার্শাল ল’ দেন বাংলাদেশে। সেই মার্শাল ল’ দিয়ে জনগণের কণ্ঠরোধ করেন। কণ্ঠরোধ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে আওয়ামী লীগকে সংগ্রাম করতে হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তার আমলে অন্তত দুইবার কারাবরণ করেছেন, শুধু জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্যে। আজ জি এম কাদের সাহেব হঠাৎ বলে বসলেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট জনগণের কণ্ঠরোধ করার জন্য।
তিনি বলেন, আমি জি এম কাদের সাহেবকে অনুরোধ করবো, তিনি যেন সাইবার নিরাপত্তা আইনটি ভালোভাবে পড়েন। উনি ভালোভাবে পড়লে দুইটি জিনিস দেখতে পারবেন, এক সাইবার নিরাপত্তা আইনে বাংলাদেশ প্যানেল কোর্টে যেসব অপরাধ ছিল সেই অপরাধগুলো আছে। আর টেকনিক্যাল অপরাধগুলো যোগ করা হয়েছে এবং প্যানেল কোর্টের অপরাধগুলোকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। এখানে এমন কোনো কথা নেই, এখানে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার মতো কোনো আইন করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, একজন বললেন, আর কোনো কিছু পড়াশোনা না করেই এই নেতা সাহেবরা বলতেই থাকলেন বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্ট করা হয়েছে! এসব বাকওয়াজ বন্ধ করে আপনারা একটু আইনটা পড়েন, সংবিধান পড়েন তাহলে দেখতে পারবেন, এই আইন করা হয়েছে সাইবার অপরাধ বন্ধ করতে, কম্পিউটার দিয়ে মানুষের মানইজ্জত নষ্ট করে তাদের অপরাধকে বন্ধ করার জন্য।
আপনার মন্তব্য লিখুন