২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

EN

সরাইলে ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধে সয়লাব

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৯:১১ অপরাহ্ণ , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 weeks আগে

মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধে সয়লাব সরাইল উপজেলা সদরসহ গ্রামের ভিতরে বা হাওর এলাকার ছোট্ট বড়বাজার অর্ধেক মদির দোকানে করছে ঔষধের ব্যবসা। সরাইল উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় নিম্নমানের ঔষধে সয়লাব হয়ে আছে। সরাইলের বিভিন্ন ফার্মেসীতে অবাধে বিক্রয় হচ্ছে ভেজাল ঔষূধ। সরাইল উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরীব দুঃখি অসুস্থ মানুষ একটু উন্নত সেবার আশায় শহরের নামিদামি ডাক্তারের কাছে আসে। কেউ বা মা বাবাকে সুস্থ্য করতে আবার কেউবা আত্মীয় বা বন্ধুদের রোগ নিরাময়ের আশায় অনেক পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে চলে আসে শহরে। আর যে সব ডাক্তারের কাছে সেবা নিতে যাওয়া হচ্ছে তারা অধিকাংশ রোগীদের প্রেসক্রিপশনে নিম্নমানের কোম্পানীর ঔষূধ লিখে দিচ্ছে। কিন্তু দেখা যায়, যে রোগের জন্য নিম্নমানের ঔষূধ লেখা হচ্ছে, সে রোগের উন্নত মানের ঔষূধ বাজারে পাওয়া যায়। তারপর কেনও এই নিম্নমানের ঔষুধ রোগীদের সেবনের জন্য সম্মানিত কিছু ডাক্তার পরামর্শ দেয়? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে দেখা যায় যে, শহরে কর্তব্যরত কিছু ফার্মাসিটিক্যালের কর্মকর্তা ডাক্তারদের সঙ্গে কমিশন ভিত্তিতে তাদের কোম্পানির নিম্নমানের ঔষূধ রোগীদের প্রেসক্রিপশনে লিখাচ্ছে। ডাক্তাররা কোম্পানীর কমিশনের আশায় ঔষুধের মান বিবেচনা না করেই তা রোগীকে সেবনের পরামর্শ দিচ্ছে। এমন একটি ঘটনা সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি সিনিয়র সহ সভাপতি সাংবাদিক মো. আরিফুল ইসলাম ভিডিওতে তার নিজের চিকিৎসার পর ঔষধের ব্যপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আমি নিজে ঔষধ কিনে ঢাকা যাওয়ার পর ডাক্তার ঔষধ দেখে বলে এ গুলো নিম্নমানের ঔষধ। এমন অভিযোগ অনেকের রয়েছে। যারা ঔষধ নিয়ে যাছাই করে। আর যারা বিশ্বাস করে তাদের পরিনত হয়।এসব ঔষুধ অতি সহজে সরাইল অরুয়াইল ব্রীজ মোড়, সরাইল বাজারে নামি-দামী ফার্মেসিসহ মসজিদ রোড় বিকাল বাজারে পাওয়া যায়। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই সব ফার্মেসীতে ঔষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধির ভিড় ব্যাপক হারে লক্ষ করা যায়। ভালো ঔষুধের আড়ালে এই সব প্রতিনিধিরা তাদের পকেট ভারী করার আশায় অনুমোদন বিহীন ঔষুধ সরবরাহ করে থাকে। আর ফার্মেসীর মালিক অধীক লাভের আশায় গুনগত মান বিবেচনা না করেই ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত এই সব ঔষুধ বিক্রী করছে। অবৈধ ঔষুধ সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধানে গেলে আরো জানা যায় যে, সরাইলে নিযুক্ত ঔষুধ বিক্রয়ের প্রতিনিধির অনেকেই কোম্পানীর চাকুরীর পাশাপাশি নিজে বাইরের দেশের নিম্নমানের ঔষুধ আমদানী করে এবং তা বাজারজাতকরন করছে। এসব কোম্পানির কোন বৈধতা নেই তারা চাকরির পাশিপাশি সু কৌশলে ঐ কোম্পানির স্টিকার ও লোগো ব্যবহার করে নিম্নমানের ঔষুধ বিভিন্ন ডাক্তারের কমিশনের ভিত্তিতে তা বাজারে চালিয়ে যাচ্ছে। আবার তারা অনেকেই ডাক্তার না। ফার্মেসীতে বসতে বসতে তারা এখন প্রচার করছে অমুক ডাক্তারের দোকান, দেদারসে শিশু বাচ্চাদেরকে এন্টিভায়টিক লিখে দিচ্ছেন। আর এসব ঔষুধ বিক্রয়ের কাজে সহযোগিতা করছে ফর্মেসীগুলোর কাগজে লেখা ছাড়া ডাক্তার । কয়েক জন ফার্মেসি মালিক জানায়, বাজারে অনেক ভালো কোম্পানির ঔষুধ থাকতেও শুধু মাত্র কমিশনে কারনে ডাক্তাররা এসব নাম সর্বস্ব কোম্পানির ঔষুধ লিখে বাজারে চলার সুযোগ করে দিচ্ছে। এর জন্য তারা দায়ি করেন ঔষুধ প্রশাসনকে। প্রশাসনের নিয়মিত নজর দারি করার কথা থাকলেও একাধিক কর্মকর্তা নিজেই এই কোম্পানির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই এসব নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

September 2023
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  
আরও পড়ুন