“শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প” শিক্ষার্থীদের নিয়ে শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৮:৩৬ অপরাহ্ণ , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 weeks আগে
এনই আকন্ঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় “শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প” এর আওতায় গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর শব্দসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কেন শব্দদূষণকে গুরুত্ব দেয়া উচিত, শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব, কারণ ও নিয়ন্ত্রণে করণীয় এবং শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ এর উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ প্রেজেন্টেশন ও ভিডিও প্রমাণ্যচিত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: খালেদ হাসান, উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর। বিশেষ অতিথি হিসেবে যথাক্রমে মো: জুলফিকার হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার ও ডা. শামীমা সুলতানা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা ও সঞ্চালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকবৃন্দ যথাক্রমে বিসল চক্রবর্ত্তী এবং বদরুন্নাহার সীমা।
প্রশিক্ষণে বক্তারা শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ও শব্দদূষণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন। সভায় বিশেষ অতিথি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামীমা সুলতানা শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব যেমন কানে কম শোনা, মাথা ব্যাথা, ঘুম কম হওয়া ইত্যাদি বিষয় ও শব্দদূষণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। বিশেষ অতিথি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব মোঃ জুলফিকার হোসেন শব্দদূষণ রোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন ও জোড়ালো ভূমিকা রাখতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি জনাব মোঃ খালেদ হাসান, উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ও শব্দদূষণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করেন ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত প্রজন্ম হিসেবে সচেতন এবং শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সবশেষে শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের সভাপতি গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী শহিদুল ইসলাম শব্দদূষণ রোধে সচেতন হওয়া, পরিবেশের মূল উপাদানের মতো শব্দ দূষণকেও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে শিক্ষার্থীদের অবহিত ও তাদের দ্বারা শব্দদূষণ না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানান।
আপনার মন্তব্য লিখুন