ভিক্ষা করে নিজে খাই এবং মাকে খাওয়াই
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ , ১৪ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 week আগে
মো. তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) দেখতে মনে হয় লোকটি বয়স হয়েছে। গায়ে কালো একটি শার্ট। মাথায় ছোট্ট একটি বস্তা ভিতরে চাউল। মনে হচ্ছে অনেক পরিশ্রান্ত। গতকাল দুপুর প্রায় সাড়ে তিনটার দিকে। উচালিয়া পাড়ার চৌরাস্তার মোড়ে পানের দোকানে পান খাবেন এমন সময় কথা হয়। আপনার এই বস্তায় কি। মুখে একটু কথা বাজে তবু বলছে আমি ভিক্ষা করে চাল এনেছি।যার সাথে কথা বলছিলাম। তিনি সরাইল উপজেলার
কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বয়সী ধন মিয়া গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করেন। এতে যা হয় তা দিয়ে মা’কে নিয়ে সংসার চলে তার। মো.ধন মিয়া বাড়ি কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চানপুর এলাকায়। আগে কাজ করতেন অন্যের জমিত বয়সের বাড়ে এক যুগ ধরে ভিক্ষাবৃত্তির উপার্জন দিয়েই মায়ের ভরণ-পোষণ মেটাতে হয় তাকে।আগে তার ভিক্ষাবৃত্তির জীবন ছিলো না। বয়সের বিভিন্ন রোগে আক্রমণে দিনমজুর ধন মিয়ার সংসারে নেমে আসে অভাবের কালো মেঘের ছায়া। স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে না পারলেও মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন মায়ের একমুঠো খাবার যোগান দিতে। ভিক্ষাবৃত্তির আগে মানুষের বাড়িতে মাটি কাটা সহ অনেক কাজ করতেন।বয়সের ভার আর জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে নিরুপায় হয়ে। প্রতিদিন ভিক্ষা করে চার কেজি থেকে পাচঁ কেজির মতো আয় হয় তার। এ দিয়েই এখন চলছে ধন মিয়ার সংসার।ধন মিয়া বলেন, ভিক্ষার টাকায় চলে সংসার। ন্যূনতম পরিমাণ টাকা রোজগার না হলে বাড়িতে যায় না। তাই বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়।কিন্তু তাদের প্রতি সরকারী -বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা আজো পর্যন্ত সেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেননি বলেও অভিযোগ মো.ধন মিয়ার। আসুন না আমরা যারা ‘সমাজে বৃত্তশালী ও মানবিক আছেন আপনারা পাশে দাঁড়ান।
আপনার মন্তব্য লিখুন