২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

EN

কসবার যুবককে ত্রিপুরায় পিটিয়ে হত্যা, ৩দিন পর লাশ ফেরত দিল ভারত

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১২:৫১ অপরাহ্ণ , ১৫ জুন ২০২২, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে

মোঃ রাসেল সরকারঃ ভারতের ত্রিপুরায় ডালিম মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবকে পিটিয়ে হত্যার ৩দিন পর লাশ দেশে পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। গত সোমবার (১৩ জুন) মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-ত্রিপুরার আগরতলা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে নিহত যুবকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত বাংলাদেশি যুবক ডালিম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সীমান্তবর্তী গ্রাম বায়েক ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে।

এসময় ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার টাকারজলা থানার ওসি দেবানন্দ রিয়াং ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান উপস্থিতিতে পরিবারের কাছে মরদেহটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের টাকারজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবানন্দ রিয়াং বলেন, সিপাহিজলা জেলার টাকারজলা থানার গোলাঘাটী গ্রামের একটি বিদ্যালয় থেকে শনিবার সকালে এক শিক্ষকের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। এ সময় ভারতের ওই এলাকার বাসিন্দারা চোর সন্দেহে ধাওয়া করে ডালিমকে ধরে ফেলেন এবং ঘটনাস্থলে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলাম নামের অপর এক বাংলাদেশি যুবক আহত হন। পরে জহিরুলকে টাকারজলা থানা–পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

নিহত ডালিম মিয়ার পিতা- মোহন মিয়া ও মাতা- ছালমা বেগম পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ তুলে বলেন, মাদলা গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান শিমুল বেশ কিছুদিন যাবত ভারতে অবস্থান করছিলেন। গত ১০জুন শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিমুলের ভাই জহিরুলসহ অন্যরা ডালিমকে ভারতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। মোহন আরও জানান, শিমুলের স্ত্রীর সঙ্গে ডালিমের পরকীয়া চলছিল। পারিবারিকভাবে বিষয়টি আপস-মীমাংসা হলেও পরকীয়ার জের ধরেই শিমুল ও তার লোকজন ডালিমকে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার ডালিম মিয়াসহ জহিরুল (৩০), সাইফুল ইসলাম (৩০) এবং হৃদয় মিয়াসহ (২৬) কয়েকজন বাংলাদেশি মিলে শুক্রবার রাতে কসবা সীমান্তপথে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে।

আখাউড়া থানার (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, যেহেতু হত্যাকাণ্ড ভারতে ঘটেছে সুতরাং ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে বিচার চাইলে ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। এই ঘটনায় ভারতের স্থানীয় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দুই দেশের পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

June 2022
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আরও পড়ুন