একমাস নিখোঁজ, কবরের খোঁজ পেয়ে আবেগাপ্লুত পরিবার
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৯:২৭ অপরাহ্ণ , ৩ জুন ২০২২, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে
এনই আকন্ঞ্জি :প্রায়ই ৩০দিন আগে রাজিয়া বেগম, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার উড়িয়ন্দ থেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ করতে এসে নিখোঁজ হয়েছিল। স্বজনরা নিখোঁজের একমাস পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বেওয়ারিশ লাশের একমাত্র তিতাসপাড়ের কবরস্থানে গিয়ে রাজিয়ার পরিচয় জানেন ও কবর দেখে খুশিতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
শুক্রবার (৩ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন এ বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।
গত বৃহস্পতিবার “খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের” হস্তক্ষেপে “ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর” নামের একটি সংগঠন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফনকাজ করেছিল।
রাজিয়া বেগম (৪০) কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন ইউনিয়নের উড়িয়ন্দ গ্রামের মৃত শের আলীর মেয়ে।
রাজিয়ার ছোটভাই জাকারিয়া জানান, গত মাসে কাজের জন্য নরসিংদী জেলার রায়পুরায় এক আত্মীয়ের বাসায় এসে তার বোন নিখোঁজ হয়েছিল। তারপর থেকে তাদের বোনকে তারা অনেক খোজাখুজি করেও পাইনি। ওই আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন, রাজিয়া কাজের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া গেছেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন গণমাধ্যমর তথ্যমতে রাজিয়ার লাশ দাফনকাজ দেখে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে যান। পরে হাইওয়ে থানা পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শুক্রবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালের সামনে এসে বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিনের সাথে দেখা করেন। রাজিয়ার ছবি দেখেন এবং শুক্রবার দুপুরে তারা দুইভাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেওয়ারিশ লাশের কবরস্থান (মেড্ডা তিতাসপাড়ের কবরস্থান) এসে নিখোঁজ হওয়া বোনের কবরটি দেখেন। তার বোনের পরিচয় শনাক্ত ও সুন্দর ভাবে দাফনকাজ সম্পন্ন করার বাতিঘরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এক পর্যায়ে তারা দুই-ভাইসহ অন্যান্য আত্মীয়রা কান্নায় ঢলে পড়েন ও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তার বোনের কবর জিয়ারত করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে বিজয়নগরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ইসলামপুরে একটি পরিবহনে চাপায় এক অজ্ঞাত মহিলা মারা গিয়েছিল। ওই মহিলা সরাইল বিশ্বরোড থেকে বিজয়নগরের চান্দুরায় বিভিন্ন যায়গায় কাজ করতেন। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর ওই মহিলার আত্নীয়-স্বজনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। কেউ তার লাশটি দাফনকাজ করতেও এগিয়ে আসেনি বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের সদস্যরা ওই মহিলার দাফনকাজ সম্পন্ন করেছিল।
আপনার মন্তব্য লিখুন