কসবা গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি, হত্যা না আত্মহত্যা!!
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ , ৬ মে ২০২২, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে
মোহাম্মদ রাসেল মিয়া :কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে বিষাক্রান্ত অবস্থায় সিমা আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
সিমা পিত্রালয়ের লোকজন দাবী করছেন তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে তার স্বামীর পরিবার। যদিও হত্যা না আত্মহত্যা তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে চিকিৎসা অবহেলায় ঘটনায় নিয়ে শ্বশুরালয়ের লোকজনের দিকে সন্দেহের তীর জোরালো হচ্ছে।
নিহত সিমা কসবা উপজেলা খাড়েরা গ্রামের আল আমিন মিয়ার স্ত্রী। গত ৫ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শ্বশুরালয়ে লোকজন চিকিৎসা জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রেফার করেন পরবর্তী হাসপাতালে নেওয়া পথে মারা যায়।
এ বিষয়ে কসবা পৌরসভার শীতলপাড়ার মৃত সিমা আক্তার বাবা মোঃ দুলাল মিয়া অভিযোগ করে জানান – প্রায় ৮ বছর পূর্বে কসবা উপজেলার খেওড়া গ্রামের আব্দুল রউফ পুত্র আলআমিন সাথে সিমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আরিয়ান ও ইসমাইল নামে দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।
সম্প্রতি আলআমিন পরক্রিয়া আসক্ত হয়ে পড়লে প্রায়ই এ নিয়ে তাদের সংসারে কলহ দেখা দেয়। বিষয়টি সিমা আক্তার তার বাবা ও চাচাকে সময়ে-সময়ে অবগত করত।
সীমা আক্তার পরিবার ও এলকায় সূত্রে জানায় যায়, সিমা আক্তারের বিবাহ পর থেকেই তার স্বামী ও পরিবার বর্গ যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ মারধর করত এক পর্যায়ে আল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে সিমা আক্তার মারধর করে তার মুখে পরিকল্পিত ভাবে জোর পূর্বক কেরির ভরি (বিষ) খাওয়ায়। ওই দিন রাতেই কসবা হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বামী ও শ্বশুর । কসবা উপজেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করলে শ্বশুরালয়ে লোকজন সিমা আক্তার কে এ্যাম্বুলেন্স যোগে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সীমা আক্তার মৃত্যু বরন করে।
এদিকে, খবর পেয়ে কসবা থানার এস.আই আমানউল্লাহ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করেন।
তিনি জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাবার পর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে। হত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন