২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

EN

নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার ১টি ভিডিও ভাইরাল

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ণ , ৫ মার্চ ২০২২, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে

এনই আকন্ঞ্জি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) আলমগীর মিয়া চৌধুরী’র একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে তহশিলদার আলমগীর মিয়া চৌধুরীকে এই কথাগুলো বলতে শোনা যায় “দৌড়াদৌড়ি যখন করতেন না (করবেন না), কাগজ জমা দিয়া বাইরে জিগান (জিজ্ঞাসা করেন) কত টাকা লাগে। খোলাখুলি কই, আমার কাছে জমা দিলে তো সিস্টেমে হইয়া যায়গা (আমার কাছে জমা দিলে সিস্টেমে হয়ে যাবে)। আমরা একজনকে ১০০, আরেকজনকে ২০০ করে দেই। এসিল্যান্ডও পায়। সরকার আইন করছে কিন্তু স্টাইল এইডা।’

জমির দলিল-সংক্রান্ত কাজে তার কাছে কয়েকজন এলে তিনি এসব বলেন। এসময় তাকে ও একজনকে টাকা নাড়াচাড়া করতে দেখা যায়।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তহশিলদার আলমগীর মিয়া চৌধুরী। তবে ভিডিওটি তার বলে নিশ্চিত করেছেন। তার দাবি, ভিডিওতে তার কথা কাটছাঁট করা হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভলাকূট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের শামীম আহম্মেদ।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জমির খাজনা বাবদ (ভূমি উন্নয়ন কর) ১০ টাকার রশিদ জমা দিতে তহশিলদার আলমগীর মিয়াকে দিতে হয় দুই থেকে তিন হাজার টাকা। সাধারণ নামজারির জন্য ১১৭০ টাকার সরকারি ফির পরিবর্তে তাকে সাত থেকে আট হাজার টাকা দিতে হয়।

আলমগীর মিয়ার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান খান শাওন বলেন, ভলাকুট ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমরা এরই মধ্যে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তার বক্তব্যের একটি ভিডিও হাতে এসেছে। এ ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে।

লেনদেনে নিজের নাম উঠে আসার বিষয় তিনি বলেন, ‘তারা (ভূমি অফিসের দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিরা) অনেক অপকর্মে আমাদের নাম ব্যবহার করে থাকেন। অথচ বিষয়গুলো আমরা বিন্দুমাত্র জানি না। এ ঘটনা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন