২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

EN

কুটুম না আসলেও তীব্র শীতে সরাইলে পিঠা বিক্রির হিড়িক !

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:০৭ অপরাহ্ণ , ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে

মোঃ তাসলিম উদ্দিন সরাইল প্রতিনিধি / ঢেকির ডাকে আগে নাকি শিয়াল রাতে বাগ ছেড়েছে। আজ আর ঢেকির শব্দ নেই,শিয়াল মামার রূপ কথা গল্প বলার মানুষ নেই। সব কিছু ভূলে আছে তাদের মোবাইল আর ইন্টারনেটে ব্যস্ত। আগের সব এখন আছে। গ্রাম বাংলার ইতিহাস আর ঐতিহ্যের শীতের আমেজে পিঠা বানানোর ধুম।কালের পরিবর্তে আর তা এখন দেখা যাচ্ছে না, শীতের আগমনে কুটুম আসবে সেই তাগিদে ঘরে ঘরে চাউল গুটার ঢেকির আওয়াজ এলাকায় মুখরিত হত। তা যেন আজ বিলীন হয়ে স্বপ্ন আর রূপকথা মালা হয়ে গেছে। সন্ধ্যার হিমেল বাতাস ভাঁপা পিঠার গরম সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন আনচান করে ওঠে। সরিষা বা ধনে পাতা বাটা অথবা শুটকির ভর্তা মাখিয়ে চিতই পিঠা মুখে দিলে ঝালে কান গরম হয় শীত পালায়। শীতের আমেজ শুরুর সাথে সাথে সরাইল উপজেলায় অলিগলির ফুটপাতের বিভিন্ন জায়গায় এখন চলছে পিঠা তৈরীর বেচাকেনার হিড়িক । পিঠা প্রেমি মানুষ শীতের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে ফুটপাতের এসব পিঠার দোকানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সকাল ভির করছেন।আবার অনেকেই দেখা যাচ্ছে পিঠার দোকানের চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাওয়ার রেওয়াজে পরিণত করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়,অনেক পরিবারের চাহিদা মেটাতে পিঠা ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও সন্ধ্যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকান ক্লাব আড্ডায় ও পিঠার আয়োজন লক্ষ্য করা যায়।তবে শ্রমজীবী রিক্সা ভ্যান চালক ড্রাইভার, বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকসহ অভিজাত লোকজনের কাছে অত্যন্ত প্রিয় খাবার শীতের পিঠা। এই শীতে ফুটপাতের পিঠা ওয়ালা ভদ্রঘরের অভিজাত গৃহবধুদের মুক্তি দিয়েছে পিঠা তৈরীর কষ্ট থেকে। যাতে পরিবারের সবাই নানা পিঠা খেতে উৎসাহী হয়, গ্রাম থেকে শহরের সকল পরিবারে চলেএ চাহিদা।কিন্তু পিঠা তৈরিতে নানা ঝামেলা পোহাতে হয় গৃহবধূদের। এদিকে দরিদ্র ও স্বল্প আয়েরমানুষের পিঠা খাওয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠেছে প্রায় শতাধিক পিঠার দোকান। এইসব পিঠার দোকানে বসে সকালে প্রতিদিন বিকাল চারটা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ভাসমান পিঠার দোকানে অধিকাংশ মালিকেরাই হল হতদরিদ্র পরিবার, সচ্ছলতা ফেরাতে সংসারে অর্থও যোগান দিতে তারা রাস্তার পাশে চুয়া পিঠা, চিতই পিঠা ওভাঁপা পিঠা তৈরী করে বিক্রি করছে, প্রতিটি পিঠা দশ টাকায় বিক্রি করছে তারা, জানাযায়, ভ্যান চালক,দিন মজুর,পথচারীও শিশু কিশোর – ছাত্র – ছাত্রীরা ও সমস্ত পিঠা দোকানের প্রধান ক্রেতা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

December 2021
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
আরও পড়ুন