রক্ত-সম্ভ্রমে কেনা বিজয় 🔳 এইচ.এম. সিরাজ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ , ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে১৬ ডিসেম্বর একটি দিবস। একটি অধ্যায়। বহুলতর কাঙ্খিত একটি অস্তিত্ব। একটি মাইলফলক। জলজ্যান্ত একটি ইতিহাস। লাখো শহীদের তাজা রক্ত আর লাখো মা-বোনের হারানো সম্ভ্রম। অবিস্মরণীয় একটি তারিখ, মহান বিজয় দিবস।
-বাঙালি ‘বীরের জাতি’, এটি ইতিহাসখ্যাত। তাও অাবার সাময়িক নয়, হাজার বছরের। বাঙালি আজ যা ভাবে, ভারত ভাবে অাগামীকাল; আর বিশ্ব ভাবে আরও পরে। অার এমনটি গোটা বিশ্বজুড়েই স্বীকৃত। ইতিহাসের সেই বীর বাঙালির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য আত্মপ্রকাশের দিনটিই হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস।
–
একাত্তরের উত্তাল মার্চ। নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের সূচনা করে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী। সঙ্গতেই প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় নিরস্ত্র বাঙালি। লাখো শহীদের রক্ত আর লাখো মা-বোনের সম্ভ্রম যায় খোয়া। এর বদলেই পাওয়া বাঙালির বহুল কাঙ্খিত স্বাধীনতা। টানা নয়টি মাসের যুদ্ধে এই বীর বাঙালিই পর্যুদস্ত করে তুলেছিলো পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে।অবশেষে ওই দখলদার বাহিনী হয়ে ওঠে পলায়ণপর।
–
শেষতক ১৬ ডিসেম্বরের বিকেল বেলায়। ঐতিহাসিক সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ঢাকা নগরের রেসকোর্স ময়দান তথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। যৌথবাহিনীর প্রধান জোনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর প্রধান জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি।
–
বিশ্বের মানচিত্রে চিহ্নিত হয় একটি আলাদা ভূ-খণ্ড। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। যার নাম ‘বাংলাদেশ’। বিজয়োল্লাসে সেদিন উদ্বেলিত হয়ে ওঠে বীর বাঙালি। অার সেই থেকেই ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। অনেকটা এমন-
আমি বিজয় দেখিনি
বিজয়ের গল্প শুনেছি।
আমি বশ্যতা মানিনি
বিজয় ছিনিয়ে এনেছি।
আমি আপোষ করিনি
গৌরবে বাঁচতে শিখেছি।
আমি রক্ত-সম্ভ্রম খুইয়েছি
বিজয়ের মাস পেয়েছি।
বছর ঘুরে অাবারও দ্বারপ্রান্তে ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণ। তবে এবার দিবসটির মাহাত্ম্য অন্যরকম, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী; বিজয়ের ৫০ বছর। অাজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবসে সকলের প্রতি রইলো বিজয়ের প্রগাঢ় শুভেচ্ছা।
#
এইচ.এম. সিরাজ : কবি, সাংবাদিক ও শিক্ষানবিশ অ্যাডভোকেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
নির্বাহী সম্পাদক – The Daily Prajabandhu, পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক- Brahmanbaria Pressclub
আপনার মন্তব্য লিখুন