১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

EN

টুইন টাওয়ার হামলার ২০ বছর

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে

টুইন টাওয়ার হামলার ২০ বছর

(ছবি: সংগৃহীত)
টুইন টাওয়ার হামলার ২০ বছর পার হলেও প্রশ্ন উঠেছে দীর্ঘ এই সময়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে কতোটা সফল যুক্তরাষ্ট্র? ইরাক এবং আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শেষের পর উঠেছে এমন সমীকরণ।

নারকীয় সেই হামলায় হতাহতের স্বজনরা বলছেন, যেভাবে তড়িঘড়ি করে কাবুল ছেড়েছে মার্কিন সেনারা, তা ৯/১১-এ নিহতদের সাথে প্রতারণার সামিল।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টা। নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে আঘাত হানে একটি বিমান। কিছু বুঝে উঠার আগেই আরেকটি বিমান পাশের ভবনে আঘাত হানে। ১ ঘণ্টার ব্যবধানে ধুলোয় পরিণত হয় বিশাল ভবন দুটি। মারা যায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ।

মার্কিন ইতিহাসে ভয়াবহতম এই হামলায় নড়েচড়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। সেই সময় সংগঠনটির নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে ওয়াশিংটন।

টানা ২০ বছর অভিযানের পর গেলো ৩০ আগস্ট কাবুল ছাড়ে মার্কিন সেনারা। পেন্টাগনের এই অভিযানের যৌক্তিকতা ও সফলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে নাইন ইলেভেনে হামলায় হতাহতের স্বজনরা। পেন্টাগনের ভুল সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তারা।

টুইন টাওয়ারে হামলায় নিহতের এক স্বজন নাবেল আলভি বলেন, আফগানিস্তান অভিযানে কী করতে হবে তার স্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না পেন্টাগনের। আমার মনে হয় শুরু থেকেই বার বার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভুল নীতির জন্য পরাজয় মানতে হয়েছে আজ।

টুইন টাওয়ারে হামলায় নিহতের আরেক স্বজন জনাথন স্নাইডারম্যান বলেন, আফগানিস্তান থেকে যেভাবে ফিরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র তা লজ্জাজনক। প্রতিশোধের নামে আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। সেখানে অভিযানে যাওয়ার সিদ্ধান্তটাই ভুল ছিল।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে শুধু লাখ লাখ নিরীহ মানুষের মৃত্যু আর হাজার হাজার কোটি ডলার অর্থ ব্যয় হয়েছে। নেই তেমন কোনো অর্জন। এখনও মার্কিন ভূখণ্ডে হামলার হুমকি রয়েই গেছে।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সিনিয়র ফেলো ব্রুস হফম্যান বলেন, এটা সত্য আলকায়দার শক্তি কমেছে। কিন্তু বিভিন্ন দেশে তাদের প্রভাব কিন্তু রয়েছে এখনও। আমরা আগেও দেখেছি যখন কোনো অঞ্চলে জঙ্গীবিরোধী অভিযান চালানো হয়, তখন তারা অন্য এলাকায় গিয়ে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে। যা নিয়ন্ত্রণ করা আরও চ্যালেঞ্জিং।

যদিও আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করাই সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সফলতা হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

September 2021
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আরও পড়ুন