ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের উদ্যোগে তিনটি বেওয়ারিশ লাশ দাফন
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
স্টাফ রিপোর্টার: আবারও তিনটি বেওয়ারিশ লাশের জানাযা ও দাফনকাজ সম্পূর্ণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুমার নামাজের পর মেড্ডা সার গুদাম চত্বরে জানাযা শেষ পাশের কবরস্থানে দাফনকাজ সম্পূর্ণ করা হয়।
আখাউড়া রেলস্টেশন প্লাটফর্মে ও সদর উপজেলায় শহরের দাড়িয়াপুর এলাকায় ট্রেনে কাটা ৫০ ও ২৪ বছর বয়সী যুবক ও মহিলা এবং ৪০ বছর বয়সী একজন মহিলার বেওয়ারিশ লাশের জানাযা ও দাফনকাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, আখাউড়া রেলস্টেশন প্লাটফর্মে তুর্ণা নিশীতা ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে একজন অজ্ঞাত মহিলা নিহত হয়, সদর উপজেলায় দাড়িয়াপুর এলাকায়ও ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয় ও সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের পঞ্চবটি এলাকার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আরও একজন অজ্ঞাত মহিলা মারা যায়। কিন্তু নিহত কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি। বেওয়ারিশ লাশের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে বেওয়ারিশ লাশ গুলি দাফনকাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাতিঘরের পৃষ্ঠপোষক-উপদেষ্টা ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ এমরানুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে শুক্রবার জুমার নামাযের পর মেড্ডা স্যার গুদাম খালি জায়গায় বেওয়ারিশ লাশের জানাযা পড়া হয়। জানাজা শেষে মেড্ডা কবরস্থানে তিনটি কবর কুঁড়ে বেওয়ারিশ লাশ গুলির দাফনকাজ সম্পূর্ণ করি।
এব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, বেওয়ারিশ লাশ দাফনকাজ করার মত মহৎ কাজ আমার চোখে পড়েনি। তারা এখন পর্যন্ত অনেক গুলো বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেছে। সত্যি বাতিঘর মানুষকে যে সেবা দিয়ে যাচ্ছে তা প্রশংসনীয়। বাতিঘরের মানবিকে কাজে পুলিশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
দাফনকাজ সম্পূর্ণ করার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্লাড ব্যাংকে অন্যান্য সদস্যরাও।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর সামাজিক ও মানবিক কাজ দিয়ে জেলায় যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। ইতিমধ্যে তারা জেলায় টেলি মেডিসিন সেবা, বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা ও ২৪ ঘন্টা রক্তদান করে যাচ্ছে। যা এই প্রথম কোন সংগঠন স্বেচ্ছায় এত গুলো কাজ করছে। জেলার কিছু ডাক্তার-সাংবাদিক ও সামাজিক-প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বাতিঘরের সেবামূলক কাজের সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত থেকে তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন