নবীনগরে অসহায় মা-মেয়েকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করতে মিথ্যা মামলা ও হামলার অভিযোগ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৮:১৪ অপরাহ্ণ , ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বাড়িখলা গ্রামে অসহায় এক পরিবারের মা-মেয়েকে নিজবাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করতে মিথ্যা
চাঁদাবাজি মামলা ও হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অসহায় পরিবারটি নবীনগর থানায় অভিযোগ করেও তার প্রতিকার পাচ্ছেন না।উল্টো তাদের বিরোদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে
পরিবারটিকে হয়রানি করেছেন এলাকাটির প্রভাবশালী মোর্শেদ মিয়া।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাড়িখলা গ্রামের মঞ্জু মিয়ার গত ২০ বছর যাবত প্রবাসে কর্মরত। বাড়িতে তার স্ত্রী
আয়েশা বেগম(৫৫),তার মেয়ে নার্গিস আক্তার
(২৮)সহ এক ছোট্ট নাতনিকে নিয়ে থাকেন। তাদের বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না
থাকায় প্রতিবেশি জসিম মিয়া(২৫) ও মোর্শেদ মিয়া, প্রবাসি মঞ্জু মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগম কে তাদের বাড়িটি তাদের কাছে বিক্রয় বা বাড়ির উপর দিয়ে একটি রাস্তার জায়গা দেওয়ার জন্য
প্রস্তাব দেয়। সেই বসত বাড়ির জায়গা নিয়েই যত ঝামেলা সূত্রপাত।
অসহায় আয়েশা বেগম জানান,আমার স্বামী,ছেলে ও আমার মেয়ের জামায় প্রবাসে থাকেন। বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকার
সুযোগে আমাদের প্রতিবেশি জসিম মিয়া ও মোর্শেদ মিয়া আমাদের থাকার বাড়িটি তাদের কাছে বিক্রয় অথবা বাড়ির উপর দিয়ে বড় একটি রাস্তা দেয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। এবিষয়ে তার প্রবাসী স্বামীর অনুমতি লাগবে এবং তিনি দেশে আসলে এবিষয়ে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার গ্রামে বৈঠক হয়েছে
।এর পর থেকে কারনে অকারনে মোর্শেদ মিয়া ও জসিম মিয়া প্রায় সময়ই তাদের সাথে খারাপ আচরণ সহ আমাকে ও আমার মেয়েকে খুন জখম করার হুমকি প্রদান করেন। পরে
এলাকার কিছু মানুষের সহযোগীতায় আমি ও আমার মেয়ে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে গত ১৬ এপ্রিল নবীনগর থানায় একটিঅভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু এ বিষয়ে কোন প্রকার প্রতিকার না
পেয়ে উল্টো আমাদের বিরোদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছেন।আমি ও আমার মেয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভোগতেছি,
উপায় না পেয়ে আমরা আপনারা সাংবাদিকদের দাড়হস্ত হয়েছি।আমাদের বাঁচান নয়তো তারা আমাদের যে কোন মহুর্তে মেরে ফেলবে,আমি সবার কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।
স্থানীয় এলাকাবাসী কাজী সফিকুল ইসলাম,
দেওয়ান কাজি,এরশাদ মিয়া সহ আরো অনেকেই জানান, তাদের এই বিষয় নিয়ে গ্রামে
একাধিকবার বৈঠক বসেছে।বৈঠকে সিদ্ধান্ত আয়েশা বেগম মানলেও মোর্শেদ মিয়ারা মানেন না।শুনলাম এই অসহায় মা-মেয়ের বিরুদ্ধে
মিথ্যা চাঁদাজীর মামলাও নাকি করা হয়েছে।
মূলত বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকায় তাদের উপর এই অত্যাচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রভাবশালী মোর্শেদ মিয়া জানান, আয়েশা বেগম তার বাড়ির উপর দিয়ে আমাদের রাস্তা দিয়ে দিলেইতো সব শেষ হয়। চাঁদাবাজীর
মামলার বিষয়ে বললে তিনি বলেন, মূল সমস্যা জায়গা নিয়ে,তারাও অভিযোগ করেছে,তারই প্রেক্ষিতে আমিও কোটে মালা করেছি। তাছাড়া আয়েশা বেগমের বাড়ির পেছনে আমার
একটি ৪ শতকের জায়গা রয়েছে।সে জায়গাটি আমি আমার ভাইয়ের সাথে জমি দিয়ে উদলবদল করেছি।রাস্তা ছাড়া জায়গাতে
আমার ভাইয়ের বিল্ডিং তুলতে সমস্য হচ্ছে। তার বাড়ির উপর দিয়ে একটি রাস্তা দিলেইতো সব শেষ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি মো. আমিনুর রশিদ বলেন, এঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন